রাঙামাটিতে টিসিবি পণ্য ক্রয়ে ভোগান্তিতে মানুষের ক্ষোভ

ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মাঝে ন্যায্য মূল্যের টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম
এখন জনপদে
1

পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিতে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মাঝে ন্যায্য মূল্যের টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দিনে ৫ হাজার ৪৪৮ পরিবারের কাছে টিসিবির নির্ধারিত চারটি পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। ৫৪০ টাকার এই প্যাকেজে ৫ কেজি চাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ১কেজি চিনি ও ২ কেজি ডাল রয়েছে। তবে অর্ধেক মূল্যে পণ্য ক্রয়ে স্বস্তির সাথে ভোগান্তিতে ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেকেই।

আজ (মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট) দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকে রাঙামাটি পৌর এলাকায় ৫টি পয়েন্ট টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে।

চলতি আগস্ট মাসে তিন দিনে ১১ হাজার ৮৫ জন কার্ডধারীর কাছে টিসিবির পণ্য ক্রয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। এর আগে সোমবার (২৫ আগস্ট) প্রথম দিনে ৪ হাজার ২৩৭ পরিবার ফ্যামিলি কার্ডে পণ্য কেনার সুযোগ পান।

বাজার মূল্যের প্রায় অর্ধেক মূল্যে পণ্য ক্রয় করতে পেরে ক্রেতারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তবে লক্ষাধিক মানুষের বসবাস পৌর এলাকায় ফ্যামিলি কার্ডের পরিমাণ বৃদ্ধি ও বিক্রয় পয়েন্ট বাড়ানোসহ প্রতি সপ্তাহে দেয়ার দাবি জানিয়েছে ক্রেতারা। এদিকে কোন কোন ডিলার নির্ধারিত স্থানে পণ্য বিক্রি না করায় অনেকেই ক্ষোভ জানিয়েছেন।

শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩১৭ জন কার্ডধারীর জন্য নির্ধারিত স্থান রাঙামাটি সরকারি কলেজ মাঠ। কিন্তু আজ সকাল আটটায় গিয়ে পাওয়া যায়নি সংশ্লিষ্ট ডিলারকে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই তারা সদর উপজেলা পরিষদ এলাকার প্রধান সড়কের পাশে একটি দোকানে পণ্য বিক্রি করছেন। এতে কলেজ মাঠে এসে অনেকেই হতাশ আর ক্ষোভ জানিয়ে খালী হাতে ফিরে গেছেন।

আরও পড়ুন:

পণ্য কিনতে আসা পঞ্চমা বেগম বলেন, ‘আমাদের তো উপার্জন করার মানুষ নাই। বাজারের চাইতে কম দামে এখানে কিনতে পারছি। আমরা গরীবদের জন্য এটা খুবই উপকারী।’

লক্ষীদেবী চাকমা বলেন, ‘মনে করেন বাজার চিনি, ডাল একশো টাকার উপরে। এখানে অর্ধেক দামে নিতে পারছি। এজন্য সুবিধা হয়েছে আমাদের।’

তবে এই স্বস্তির মাঝেও অনেকে ক্ষোভ জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা নিয়ে।

রিদোয়ান বারী বলেন, ‘৯ ওয়ার্ডে এখন ৯টা ডিলার আছে, আরও ৯টা দরকার। আর মাসে একবারের পরিবর্তে সপ্তাহে কিংবা ১৫ দিনে পণ্য দিলে মানুষের সুবিধা হবে।’

মঙ্গল চাকমা বলেন, ‘রাঙামাটি পৌর এলাকায় লক্ষাধিক মানুষ। অথচ শুধু এক ওয়ার্ডে একজন ডিলার। এতে আমাদের অনেক ভোগান্তি হচ্ছে। প্রতি ওয়ার্ডে তিন জন করে ডিলার দিলে ভোগান্তি কমবে।’

তবে সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার টনেল দেওয়ানকে দেখা যায়নি।

এরমধ্যে ২ নম্বর ওয়ার্ডে এসপি বাংলো সংলগ্ন ১ হাজার ১৯২ জন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এডিসি হিল সংলগ্ন ১ হাজার ১৪৩, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আসামবস্তি রামঠাকুর মন্দিরে ৮৬৩, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে যুব উন্নয়ন সংলগ্ন ৯৩৩, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে রাঙামাটি সরকারি কলেজ মাঠ ১ হাজার ৩১৭ জন কার্ডধারী টিসিবির পণ্য ক্রয়ের সুযোগ পাচ্ছেন।

এছাড়া আগামীকাল ২৭ আগস্ট ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাবলিক হেলথ মাঠে ১ হাজার ৪০০ জন কার্ডধারী টিসিবির পণ্য কিনতে পারবেন।

সেজু