মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পার্শ্ববর্তী জামিয়া এমদাদিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মাচারিসহ চার শতাধিক মানুষের একটি দল এসব বস্তা ভর্তি টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন। তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার চার মাস ১৮ দিন পর দানবাক্স খোলা হয়। এ কারণে এবার নতুন করে বসানো হয়েছে আরও তিনটি দানবাক্স।
এর আগে চার মাস ১২ দিন পর চলতি বছরের ১২ এপ্রিল পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে রেকর্ড নয় কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও পাওয়া গিয়েছিল বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক এরশাদুল আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলীর উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এছাড়াও এসময় বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, গত ১০ আগস্ট সকালে কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদ পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘খুব শিগগিরই দৃষ্টিনন্দন পাগলা মসজিদের ১০ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। আধুনিক তুরস্কের নকশায় বহুমুখী কার্যক্রম সম্পাদনের উপযোগী ইসলামিক কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে।’
তিনি বলেন, ‘পাগলা মসজিদের ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এফডিআর হিসেবে রাখা আছে, যা থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ গরীব, অসহায়, অনাথ ও অসুস্থদের জন্য ব্যয় করা হয়। এরমধ্যে প্রায় ৮০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।’
এসময় তিনি প্রস্তাব করে বলেন, ‘স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে এ তহবিল থেকে সহায়তা দেয়ার। এতে শিক্ষার সুযোগ বাড়বে।’
উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের মধ্যেই দৃষ্টিনন্দন পাগলা মসজিদের ১০ তলা ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।’