১৯৯৭ সালের ১লা সেপ্টেম্বর নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে যাত্রা শুরু পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের। ২০১১ সালে ভারত ও ২০১৭ সালে ভুটানের সঙ্গেও এ বন্দর দিয়ে শুরু আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। ২০১৬ সালে চালু হয় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ।
২৮ বছর কেটে গেলেও কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি গুরুত্বপূর্ণ এ স্থলবন্দরটির। ব্যবসায়ীদের দাবি বেসরকারি পোর্ট অপারেটরের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া, ভূরাজনীতিসহ নানা কারণে চতুর্দেশীয় স্থলবন্দরটি চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে।
ব্যবসায়ীরা জানান, কর্তৃপক্ষ আমলে নিলে এটি বাংলাদেশের একটি সুপার পোর্টে পরিণত হবে। এ বন্দর দিয়ে যেমন আমদানি রপ্তানি হওয়ার কথা ছিলো তেমন হচ্ছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
গেলো ২৮ বছরে বন্দরটি অনুমোদিত সবপণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে জনপ্রিয় হওয়ার কথা থাকলেও, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে উঠেছে পাথর আমদানি নির্ভর বন্দর হিসেবে।
আমদানি রপ্তানিকারকেরা জানান, বাংলাদেশের গাড়িগুলো যদি সরাসরি নেপালে যেতে পারে তাহলে প্রচুর পরিমাণে ব্যবসায়ী আরও উৎসাহ পাবে।
আরও পড়ুন:
বাংলাবান্ধা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি রেজাউল করিম রেজা বলেন, ‘এখানে যেহেতু আমাদের নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য আছে ভূটানের সঙ্গে বাণিজ্য আছে। বাংলাদেশসহ মোট চারটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য। আগামীতে চীনের সঙ্গেও সম্ভাবনা রয়েছে।’
বন্দরের স্বার্থে পারস্পারিক ব্যবসা গতিশীল করতে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর ব্যবসায়ীদের।
অবহেলায় থাকলেও প্রতি বছর বড় অঙ্কের রাজস্ব আদায় হয় এ বন্দর থেকে। গেলো অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৬৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেড ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বন্দরে এখন যে আমদানি রপ্তানি চলছে, তাতে করে বর্তমান সময়ে যে জায়গা আছে খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে না। অবশ্যই আমাদের বন্দরের এ জায়গাটি আরও বাড়ানো উচিত।’
বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেড ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বাংলাদের এত কাছে ভারতে, নেপাল, ভূটান হওয়ার পরেও আমরা সম্পর্ক তৈরি করতে পারিনি। একটি অদৃশ্য দেয়াল রয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে। আমরা আশা রাখি বাংলাবান্ধার বন্দর একদিন বড় একটি বন্দরে রুপান্তরিত হবে।’
গত অর্থবছরে এ স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ কিছুটা বাড়লেও আমদানি কমেছে অন্তত ২ লাখ টন।