আজ (মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রকল্পের লক্ষ্য, কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটির মেয়াদ ৩ বছর পর্যন্ত। এ প্রকল্পের আওতায় চিহ্নিত করা হবে অন্তত ১৫০টি জীববৈচিত্র্য হটস্পট, বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল এবং বাস্তুতন্ত্র। যেখানে মোট ৪৫০টি পাড়া বা কমিউনিটি প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
একইসঙ্গে প্রকল্পের আওতায় ৪৫০টি পাড়ায় জীববৈচিত্র্য দল গঠন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, ৩টি স্থানে ইকো-ট্যুরিজম পাইলট কার্যক্রম বাস্তবায়ন, জীববৈচিত্র্য বিষয়ক সরকারি কমিটি সক্রিয়করণের সহায়তা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন:
১২১টি কমিউনিটি নার্সারি ও বীজ ব্যাংক স্থাপন, ৪৫০টি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, প্রকৃতি-নির্ভর ১৩ হাজার ৫০০ পরিবারের বিকল্প আয়ের জন্য সহায়তা প্রদান করা হবে।
এছাড়া ঝিরি-ঝর্ণা ও ছড়া এলাকায় ২ লাখ ২৫ হাজার স্থানীয় বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির গাছ রোপণসহ, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। প্রকল্পটি মূলত বাস্তবায়িত হবে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং রাঙামাটি-এই তিন পার্বত্য জেলায়।
এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সদস্য নাইউ প্রু মারমা, কনসালটেন্ট অরুনেন্দু ত্রিপুরা, ইউএনডিপির ইআরআরডি-সিএইচটি রাঙামাটি জেলার প্রতিনিধি বিহিত বিধান খীসা, কামনাশীষ খীসাসহ, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
