আজ (মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের বড়ডেইল সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস।
উদ্ধারকৃতরা হলেন- উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের উত্তর সোনার পাড়ার শফিউল আলমের ছেলে মো. আদনান (২১), একই এলাকার মো. শফিকের ছেলে এবং বর্তমানে ওই একই এলাকায় বসবাসকারী ও টেকনাফের শামলাপুর এলাকার বাসিন্দা মালয়েশিয়া প্রবাসী আবু তাহেরের স্ত্রী রাফিয়া বেগম (৩০), তার মেয়ে আজমা আক্তার (১৪) ও ছেলে সাইফুল ইসলাম (১০)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকার আব্দুল হকের ছেলে মো. ফয়সাল (৩০) এবং একই ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ কামরুল।
পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস বলেন, ‘আদনানের আপন এক চাচার ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন রাফিয়া বেগম নামের এক নারী। গত ২ সেপ্টেম্বর আদনান ও তার বন্ধু হাশেমকে নিয়ে রাফিয়া টেকনাফের শামলাপুর এলাকায় শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান। পরদিন ( ৩ সেপ্টেম্বর ) সন্ধ্যার পর থেকে আদনান ও হাশেমের সঙ্গে পরিবারের লোকজনের আর কোনো যোগাযোগ ছিল না। এ নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে খোজাখুজির এক পর্যায়ে তাদের জিম্মি করা হয়েছে জানিয়ে মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।’
আরও পড়ুন:
এরইমধ্যে রোববার রাতে (৭ সেপ্টেম্বর) এ অভিযোগে ভুক্তভোগী আদনানের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম বেলাল (৩০) বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় এজাহার দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করেছে। মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করে।
পুলিশের পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস বলেন, ‘রোববার মধ্যরাত থেকে সোমবার ভোর রাত পর্যন্ত টেকনাফের অপহরণ প্রবণ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এতে এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি মো. ফয়সালকে বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকা এবং ৩ নম্বর আসামি মোহাম্মদ কামরুলকে বড় ডেইল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে রাফিয়া বেগম তার দুই সন্তানসহ নিখোঁজ ছিল।’
দুর্জয় জানান, মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর থেকে অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত ছিল। মঙ্গলবার ভোররাতে বাহারছড়া ইউনিয়নের বড়ডেইল পাহাড়ী এলাকায় পুলিশের অভিযানের মুখে দুর্বৃত্তরা আদনান, হাশেম, রাফিয়া ও তার দুই সন্তানকে হাত, পা ও মুখ বাধা অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তার উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এদিকে গ্রেপ্তার দুই আসামিকে সোমবার বিকালে পুলিশ কক্সবাজার আদালতে প্রেরণ করলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান তিনি।