বিক্ষোভের ফলে ঢাকা-খুলনা-বেনাপোল রেলপথে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল, ভোগান্তির মুখে পড়েছেন যাত্রীরা।
ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, সকাল ৬টায় খুলনা থেকে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ছেড়ে আসলেও ২০ কিলোমিটার দূরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় একটি স্টেশনে আটকে রয়েছে৷ ট্রেনটি সকাল ৯টায় পৌঁছানোর কথা ছিল। এছাড়া সকাল ১০টায় ঢাকা থেকে রুপসী বাংলা নামে বেনাপোলগামী আরেকটি ট্রেন বন্ধ রয়েছে। এতে তীব্র ভোগান্তির মুখে পড়েছেন খুলনাগামী যাত্রীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাকিবুর রহমান আকন্দ বলেন, ‘খবর পাওয়া মাত্রই বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা ২০ কিলোমিটার দূরে থেকেই বন্ধ করে দিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া আটকে পড়া ট্রেনটি বিকল্প রেলপথে নেয়ার কোনো সিদ্ধান্তও নেয়া হয়নি।’
এদিকে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও স্থানীয় আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান জানিয়েছেন, যতক্ষণ দুটি পুনর্বহাল মা হবে ততক্ষণ রেলপথ দিয়েও কোনো ট্রেন চলাচল করতে দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন:
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘রেল পথ আটকানো খবরটি জেনেছি। আমরা স্থানীয়দের সাথে কথা বলে বোঝাচ্ছি, কিন্তু কোন কথা শুনছেন না তারা।’
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত ৪৬টি সংসদীয় আসনে পরিবর্তন এনে গেজেট প্রকাশ করেন। গেজেট অনুযায়ী ফরিদপুর-৪ এর অন্তর্গত ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসনের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই ইউনিয়ন দুটি ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে ক্ষোভে ফুসে উঠে দুটি মহাসড়কসহ (ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল) এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ শুরু করেছেন।
এরইমধ্যে গত ৭ সেপ্টেম্বর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আইন অনুযায়ী কোনো আদালত বা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।’
এরপরই বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছেন। তারা তৃতীয় দিনের অবরোধ শেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন। দুটি ইউনিয়ন পুনর্বহাল না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলে জানিয়েছেন।