সিরাজগঞ্জে প্রস্তুত কোরবানির পশু, হাট বসছে ৪৭টি

সিরাজগঞ্জ
কৃষি , মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ
এখন জনপদে
0

কোরবানি ঘিরে গবাদিপশুর রাজধানী সিরাজগঞ্জে বিপুল পরিমাণ পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। পশু কেনাবেচার জন্য জেলার নয় উপজেলায় ৪৭টি হাট বসছে। লেনদেনে চাঙা হচ্ছে জেলার গ্রামীণ অর্থনীতি।

কোরবানি ঈদ ঘিরে আশার আলো দেখছেন সিরাজগঞ্জের প্রান্তিক খামারিরা। চলতি বছর জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত সাড়ে ছয় লাখ গবাদিপশু। এর মধ্যে বেশিরভাগ চরাঞ্চলের।

যমুনার বানতিয়ার চরের গৃহিণী শারমিন আক্তার। পালন করেছেন দুটি ষাঁড়। বাজার ভালো থাকলে গরু দুটি পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রির আশা। একই এলাকার আশরাফ আলী পালন করেছেন আটটি ষাঁড় গরু।

খামারিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘দুই লাখ ৫৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি। আশা আছে পাঁচ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারলে আবার সামনের বার বেশি করে কেনা যাবে।’

আশরাফ আলী বলেন, ‘প্রতিবছরই কয়েকটা করে গরু থাকে। এবারও আটটা আছে। আমার ১৬ লাখ টাকা বিক্রির আশা আছে।’

চরাঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকদের পাশাপাশি শাহজাদপুর উপজেলার খামারিরা প্রস্তুতি করেছেন প্রায় ৭৭ হাজার ষাঁড়। জেলা জুড়ে আরও ছোট-বড় মিলিয়ে ১৮ হাজারের বেশি খামারে এক লাখ ৮৭ হাজার গরু ও মহিষ পালন হয়েছে। একই সঙ্গে সাড়ে চার লাখ ছাগল এবং ভেড়া প্রস্তুত করেছে খামারিরা।

খামারিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ব্যবসা কোনো বছর ভালো হয় আবার কোনো বছর সমান-সমান হয়।’

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, চরাঞ্চলের খামারিরা পশু পালন করে নিজেরাই শুধু স্বাবলম্বী হচ্ছে না গতিশীল হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।

শাহজাদপুরের উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বেলাল হোসেন বলেন, ‘চরাঞ্চলের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো গবাদি প্রাণী লালনপালন। আমরা আশা করি যে, তারা যেভাবে আমাদের দেশের জন্য অর্থনীতি অবদান রাখছে, আমরা সরকারিভাবে যেন তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি।’

কোরবানির পশু কেনাবেচার জন্য জেলার নয় উপজেলায় হাট বসছে ৪৭টি। প্রতিটি হাটে কেনাবেচা হচ্ছে দুই থেকে তিন কোটি টাকার পশু। সব মিলিয়ে কোরবানি ঘিরে জেলায় অন্তত ৫ হাজার কোটি টাকা লেনদেনের আশা প্রাণিসম্পদ বিভাগের।

এসএস