ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গবাদি পশু বাজারে তোলার আগে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ফরিদপুরের খামারিরা। সম্পূর্ণ দেশিয় খাবারে চলছে পশু লালন পালন। পশু মোটাতাজাকরণে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঁচা ঘাস, খড়, ভুট্টা, চিটা গুড়, ভুষি।
জেলায় ছোট-বড় মিলে খামারির সংখ্যা আট হাজারের বেশি। গরুর পাশাপাশি প্রস্তুত করা হয়েছে মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। প্রস্তুত করা হয়েছে এক লাখ দশ হাজারের বেশি পশু, যা চাহিদার তুলনায় বেশি। তবে জেলার ৯টি উপজেলায় ৪০টি হাটের পাশাপাশি এসব পশু পৌঁছে যাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে। আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অনলাইনেও পশু বিক্রি করছেন অনেক খামারি।
তবে পশুর দাম নিয়ে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আর সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারত ও মিয়ানমার থেকে পশু ঢুকলে লোকসানের শঙ্কাও আছে খামারিদের।
খামারিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘হাটে ক্রেতা আছে। কিন্তু সবাই ঘুরে বেরাচ্ছে, এখনও বেচাকেনা শুরু হয়নি। তারা যে দাম বলছেন, এতে আমাদের লস হচ্ছে। যে দামে কেনা সে দাম হচ্ছে না। অনেক কম দাম বলে।’
এদিকে, কৃত্রিম উপায় বা ক্ষতিকারক স্টেরয়েড ব্যবহার করে মোটাতাজা করা পশু শনাক্তকরণ ও কোরবানিতে সুস্থ পশু নিশ্চিত করতে হাটগুলোতে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
ফরিদপুরের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘স্টেরয়েড এখন ব্যান করা হয়েছে। এ ছাড়া, চেক করাতে এখন ব্যবহার কমে গেছে। এখন গুজর রয়ে গেছে কিন্তু আসলে নেই। সব হাট মিলে আমাদের প্রায় ১৮টি মেডিকেল টিম থাকবে। তাদের কাজ হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সহযোগিতা করা।’
কোরবানি ঘিরে পশু বিক্রিতে এ বছর ফরিদপুরে চার হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেনের আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।