নতুন ধানের সুবাসে ভরে উঠেছে চলনবিলের প্রান্তর। সোনালী স্বপ্নের হাসি এখন মাঠে মাঠে। চারদিকে এখন শুধু পাকা ধান আর কৃষক-শ্রমিকের কর্মচাঞ্চল্য।
বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ থেকে চলনবিল ও হালতিবিলে বোরো ধান ঘরে তুলতে শুরু করেন কৃষকরা। চেষ্টা চলে বর্ষার আগেই ফসল ঘরে তোলার। গত বছরের তুলনায় এবার সার সহ কৃষি উপকরণের দাম বাড়ায় কৃষকদের খরচ কিছুটা বেড়েছে। তবে, ফলন ভালো হওয়ায় স্বস্তির কথা জানিয়েছেন চাষিরা।
চলনবিলে বাম্পার ফলন হলেও শিলা বৃষ্টি আর ঝড়ে ধানের ক্ষতি হওয়ায় হালতিবিলে দেখা দিয়েছে ফলন বিপর্যয়। বোরো ধান কাটা, মাড়াই এবং পরিবহনে স্থানীয় শ্রমিকদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এ অঞ্চলে আসেন শ্রমিকরা।
এবার হালতিবিলে ঝড়ে ধান পড়ে যাওয়ায় কাজের পরিসর কমেছে বলে জানান তারা। সেই সাথে পারিশ্রমিক কম পাওয়ার অভিযোগও অনেকের।
এবছর, জেলায় ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪লাখ ১৪হাজার ৩২১টন। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১হাজার ৫৩৩কোটি টাকা। সরকারিভাবে ধান কেনা অভিযান শুরু হলে কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে আশা স্থানীয় কৃষি বিভাগের।
২০২৪-২৫ মৌসুমে নাটোর জেলার ৫৭ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে।