এক দশকে নরসিংদীতে কমেছে দেড় হাজার হেক্টর জমি

নদীর পাড়ে কৃষি জমি
কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
এখন জনপদে
0

নরসিংদীতে সময়ের সাথে কমছে কৃষিজমি। এরইমধ্যে ৩ ফসলি জমিতেও চলছে বালু ভরাট ও অবকাঠামো তৈরির মহোৎসব। অভিযোগ রয়েছে, ফসলি জমি বিক্রি করতে অনবরত চাপের শিকার হচ্ছেন কৃষকরা। জেলায় গেল ১০ বছরে কৃষি জমির পরিমাণ কমেছে দেড় হাজার হেক্টরেরও বেশি। চারণভূমি কমে যাওয়ায় গবাদিপশু পালনেও দেখা দিচ্ছে প্রতিবন্ধকতা।

আশির দশক থেকেই কৃষিতে সমৃদ্ধ নরসিংদী জেলা। তবে, সময়ের পরিক্রমায় মফস্বল থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম, সবখানেই কমছে কৃষি জমির পরিমাণ। গেল ১০ বছরে যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার বিঘায়। প্রশ্ন উঠেছে, কেন কমেই চলেছে কৃষি জমির পরিমাণ?

নরসিংদী সদর উপজেলার নাগরিয়াকান্দি এলাকা। এক দশক আগেও এখানে চাষ হতো ধান, পাটসহ অন্যান্য কৃষি পণ্য। কিন্তু, বর্তমানে সেই চাষাবাদ নেমেছে প্রায় শূন্যের কোঠায়।

সবশেষ গেল ১ দশকের পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যায়, দুই থেকে তিন দশক আগে কৃষি জমির পরিমাণ ছিল ৮৪ হাজার হেক্টরেরও বেশি। তবে বর্তমানে জেলায় কৃষি জমির পরিমাণ ৮৩ হাজার ১২৬ হেক্টর। আবাদযোগ্য জমির একাল সেকালের তফাৎটা জানা গেল কৃষকের মুখ থেকেই।

চাষিরা বলছেন, নদী ভাঙন, ড্রেজারের মাধ্যমে জমি ভরাট, শিল্প অবকাঠামো তৈরিসহ নানা কারণে প্রতিনিয়ত আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষিজমি। গেল দেড় দশকে কৃষকেরও সংখ্যাও কমেছে প্রায় ৭৫ শতাংশ। শুধু তাই নয়, ফসলি জমি বিক্রি করতে অনবরত চাপের শিকার হতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।

কৃষি বিভাগ বলছে, ফসলি জমিতে কোনো ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ বা বালু ভরাটের সুযোগ নেই। এসব জমি রক্ষায় কাজ চলছে বলেও জানান কৃষি কর্মকর্তারা।

এদিকে সবশেষ কৃষি শুমারির তথ্যমতে, বিগত ১ যুগের ব্যবধানে বাংলাদেশে কৃষিজমি কমেছে প্রায় ৭ লাখ হেক্টর।

এএইচ