বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙন, অস্তিত্ব সংকটে পাটুরিয়া ফেরিঘাট

মানিকগঞ্জ
পাটুরিয়া ফেরিঘাট
অর্থনীতি , পরিবেশ ও জলবায়ু
এখন জনপদে
0

পদ্মা সেতু চালু হলেও একটুও গুরুত্ব কমেনি পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথের। চাপ কিছুটা কমলেও এখনও প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে দেড় থেকে দুই হাজার যানবাহন এবং কয়েক হাজার যাত্রী। তবে বর্ষা মৌসুমে তীব্র স্রোত আর ভাঙনে, অস্তিত্ব সংকটে পাটুরিয়া ফেরিঘাট। স্থানীয়দের অভিযোগ, আগে থেকেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে ঠেকানো যেত ক্ষয়ক্ষতি, আর ঘাট সংস্কারে উদ্যোগ নেয়ার দাবি বিআইডব্লিউটিএ'র।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ। ২০০২ সালে আরিচা থেকে স্থানান্তর করে পাটুরিয়ায় নির্মাণ করা হয় ফেরিঘাট। সেই সময় থেকেই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রী ও যানবাহন চলাচলের অন্যতম ভরসা হয়ে ওঠে এই নৌপথটি।

তবে, এবারের বর্ষা মৌসুমে তীব্র স্রোত আর ভাঙনের কারণে একের পর এক সংকটে পড়ছে এই ফেরিঘাট। এর আগে, চলতি মাসের ৫ তারিখে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে পাটুরিয়ার লঞ্চঘাট। শুধু তাই নয়, ভাঙনে নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে ঘাট এলাকার আশেপাশের পাঁচটি ঘরবাড়ি ও একটি মুরগির খামার।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘আমার দুইটা মুরগির সেড ছিল সেটা নদী ভাঙনে চলে গিয়েছে।’

আরেকজন বলেন, ‘আমরা ঘাটের বাসিন্দা। আমাদের সবই যদি এভাবে নদীতে চলে যায় তাহলে তো আমরা বাঁচতে পারবো না।’

ভাঙনে সবচেয়ে বেশি হুমকিতে আছে ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ফেরিঘাট। গত দুই সপ্তাহে একাধিকবার ডুবে গেছে এসব ঘাটের র‍্যাম্প। ফলে প্রতিদিনই গাড়ি ওঠা নামায় সৃষ্টি হচ্ছে ভোগান্তি।

আরও পড়ুন:

যাত্রীদের একজন বলেন, ‘ফেরিঘাট বন্ধ থাকায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে।’

ঘাট সংস্কারে স্বল্প পরিসরে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ'র নির্বাহী প্রকৌশলী। আর, ঝুঁকির মধ্যেও জনস্বার্থে ফেরি সার্ভিস চালু রাখা হয়েছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা।

আরিচা নদীবন্দরের নির্বাহী প্রকৌশলী বিআইডব্লিউটিএয়ের নেপাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘এখানে আগে কোনো ভাঙন ছিল না। তবে এখন ফেরি সার্ভিস চালু রাখার জন্য যে কাজ করার দরকার সেগুলো আমরা করছি।’

আরিচা কার্যালয়ের বিআইডব্লিউটিসি ডিজিএম আব্দুস সালাম বলেন, ‘ভাঙন প্রতিদিনই হচ্ছে যার ফলে আমাদের ঘাটগুলো টিকিয়ে রাখতে কষ্ট হচ্ছে।’

এখনই স্থায়ী উদ্যোগ না নিলে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথ বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

সেজু