সংঘর্ষে উভয়পক্ষের আহতদের উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বল্লভপুর গ্রামের কৃষক চঞ্চলের গাছ থেকে দু’টি নারিকেল পড়ে যায় ঝড়ের সময়। আনোয়ারের স্ত্রী স্বপ্না খাতুন তা কুড়িয়ে পান। তবে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে চঞ্চলের চাচী তৃষ্ণা খাতুন নারিকেলটি চাইতে গেলে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও মারামারিও হয়। এতে তৃষ্ণা ও সমছের বিশ্বাস আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
এ ঘটনায় দুপুরে উভয়পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর কয়েক দফা চলে উভয়পক্ষের বাগবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দেশিয় অস্ত্র হাঁসুয়া, কাঠের বাটাম, বাঁশের লাঠি নিয়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের আরো অন্তত ৬ জন গুরুতর আহত হন।
নাম-প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বলেন, ‘রোগীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।’
কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘দুইটি নারিকেল নিয়ে উভয়পক্ষ দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৮জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজ সকালের ছোট একটি ঘটনায় দুপুরে উভয়পক্ষই লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ফের বিকেলে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন তারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
