ব্যবসায়ী স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে মিরপুর ডিওএইচএসের একটি ভবনে এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন এই নারী। রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে জোরপূর্বক তার বাসায় ঢোকেন কয়েকজন ব্যক্তি। বাসায় মাদকদ্রব্য আছে, এমন কারণ দেখিয়ে তল্লাশির নামে সোনাদানাসহ বিপুল সম্পদ লুট করে তারা।
ভুক্তভোগী নারী হোসনে আরা চম্পা বলেন, ‘আলমারিতে-টেবিলে যেখানে যা পাইছে, আমার ছেলেমেয়ের ফোন, ল্যাপটপ যা পাইছে। আলমারি খুলে স্বর্ণ, ডায়মন্ড সেট, আতর পর্যন্ত রাখেনি।’
ভুক্তভোগী নারী জানান, ডাকাতদলের চার সদস্য গ্রেপ্তার হওয়ার পরও হুমকির শিকার হচ্ছেন তিনি।
হোসনে আরা চম্পা বলেন, ‘ওই যে বলছে যে, ছুটে তো যাবে। ছুটে পরে দেখবে। বলে দিলো আমাকে, বের হয়ে আমার ছেলেকে দেখবে।’
এদিকে মিরপুর জোনের এডিসি জানান, গ্রেপ্তারকৃত চারজনের সবাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা। এদের মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট।
ডিএমপির মিরপুর জোনের এডিসি সালেহ্ মুহম্মদ জাকারিয়া বলেন, ‘আটজন মিলে সে বাসায় তারা যায়। যাওয়ার পর যে পরিমাণ মাদক, স্বর্ণের কথা তারা সোর্সের মাধ্যমে জানতে পেরেছিল, সে বাসায় গিয়ে সে ধরনের কিছুই পায়নি। যা পেয়েছে সেগুলোই নিয়ে তারা বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এই মামলায় চারজন আসামি আমরা ধরেছি। আর মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।’
এছাড়াও ডাকাতদলের পলাতক চারজনের মধ্যে রয়েছে সেনাবাহিনীর আরও দুই সাবেক সৈনিক। তাদেরকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও পুলিশের পক্ষ জানানো হয়।