ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় রাশিয়ার ওপর ক্রমেই ক্ষোভ বাড়ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের পারমাণবিক হুমকিতে যা আরও তীব্র হচ্ছে। যার কারণে রাশিয়ার কাছে দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনেরও নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এমন উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার জন্য ৬ অথবা ৭ আগস্ট মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ রাশিয়া সফর করবেন বলে বার্তা দিলেন ট্রাম্প। এমনকি ৮ আগস্টের মধ্যে রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে আবারও হুমকি দিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এ হাস্যকর যুদ্ধে প্রচুর মানুষ নিহত হচ্ছে। আপনি জানেন, আমরা অনেক দেশকে যুদ্ধ থেকে বিরত রেখেছি, এর মধ্যে ভারত এবং পাকিস্তান রয়েছে।’
এদিকে, ইউক্রেনে অভিযানের জেরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়া রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরালো করেছে চীন। বাণিজ্য ও সামরিক শক্তিতে সমান তালে মস্কোকে সহযোগিতা করছে বেইজিং। এরই অংশ হিসেবে ট্রাম্পের পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশের পর; জাপান সাগরে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে দুই দেশ। যেখানে সাবমেরিন উদ্ধার, সাবমেরিন-বিধ্বংসী অভিযান, বিমান প্রতিরক্ষা, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ও সমুদ্র যুদ্ধের অনুশীলন চলছে। ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এ মহড়া।
আরও পড়ুন:
চীনা নৌবহর কর্মকর্তা ঝাং লিনফেং বলেন, ‘আমরা রাশিয়ান সামরিক প্রযুক্তিবিদদের সাথে পেশাদার আলোচনা করেছি। উভয়পক্ষ একে অপরের সাবমেরিন উদ্ধার কৌশল থেকে শিখেছি। পরবর্তী পর্যায়ের মহড়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যা পরবর্তী অভিযানের জন্য সাফল্যের ভিত্তি স্থাপন করছে।’
সব মিলিয়ে ওয়াশিংটনের কোনো হুমকিকেই পাত্তা দিচ্ছে না মস্কো। মাথা নত করার বদলে হুমকি মোকাবেলায় যেমন প্রস্তুত হচ্ছে, তেমনি ইউক্রেনেও হামলার মাত্রা বাড়াচ্ছে। ইউক্রেনের মাইকোলাইভে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অনেকগুলো বেসামরিক অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে প্রাণহানির খবর না পাওয়া গেলেও আহত হয়েছেন অনেকে। এছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলের ইউক্রেনীয় ড্রোন উৎপাদন এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে হামলার দাবি করছে রাশিয়া।
রুশ ভূখণ্ডে পাল্টা আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়েছে ইউক্রেনও। সোমবার রাতে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় রাশিয়ার ভলগোগ্রাদের রেলওয়ে স্টেশন ভবনে একটি বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে রোববার সোচি এলাকায় থাকা রাশিয়ান তেল শোধনাগারে সফল হামলা চালিয়েছে কিয়েভ।