রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে চোরাকারবারে ভাটা; তবুও ষড়যন্ত্রে তৎপর মাফিয়া গ্রুপ ‘অধরা’

বান্দরবান
বিজিবির টহল
এখন জনপদে
অপরাধ
0

সম্প্রতি চোরাচালানের জন্য আলোচিত হয় কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা। এখানে রাজনীতিক মানুষদের সঙ্গে নিয়ে গড়ে উঠেছে সীমান্ত মাফিয়া গ্রুপ ‘অধরা’। তবে এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সীমান্ত চোরাকারবারে ভাটা পড়েছে। এখন নতুন করে চোরাচালান শুরু করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত চক্রটি। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং গ্রেপ্তারদের ছাড়িয়ে আনতে ফন্দি আঁটছেন। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চোরাকারবারীদের ষড়যন্ত্রকে পাত্তা দিচ্ছে না।

বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্তে এক সময় দাপিয়ে বেড়ানো শীর্ষ সন্ত্রাসীরা একে একে ধরা পড়ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জালে। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল অস্ত্র-গোলাবারুদ, ইয়াবা আর চোরাই গরু। এছাড়া প্রশাসনের নজরদারি বাড়ায় মিয়ানমার থেকে চোরাই গরু বাজারে আসছেও কম।

অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় চক্রটি প্রশাসনের উপর ক্ষিপ্ত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিতর্কিত করে চলমান অভিযান বন্ধ করতে তৎপর সীমান্তের চোরাকারবারী দলের সদস্যরা, অনেকে জেলে বসে আঁটছে নানা ফন্দি। শুধু চোরাকারবারীই নয়, হামলা, অস্ত্রের ব্যবহার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগও রয়েছে চক্রটির বিরুদ্ধে।

স্থানীয়রা জানান, চক্রটির কাছে অনেক অস্ত্র এখনো পর্যন্ত আছে। এতে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত স্থানীয় জনগণ।

আরও পড়ুন:

এদিকে চলতি মাসের শুরুতে আবারো মিয়ানমার সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠতে তৎপর তালিকাভুক্ত ২২ চোরাকারবারী দল। এ বছর ৫ জুন যৌথ অভিযানে মিয়ানমারের চোরাই গরু জব্দের ঘটনায় চক্রটির বিরুদ্ধে মামলা করে বিজিবি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে জব্দ করা হয় অস্ত্র, ৩১টি গরু ও একটি ছাগল।

সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে সতর্ক থাকার পাশাপাশি পরিস্থিতি বিবেচনায় টহলসহ সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারের কথা জানিয়েছে বিজিবি।

বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি-১১ বিজিবির জোন কমান্ডার লে. কর্নেল কফিল উদ্দিন কায়েস বলেন, ‘চোরাচালান বন্ধ করতে বিজিবি কঠোরভাবে সীমান্তে টহল দিচ্ছে। এছাড়া চিহ্নিত চোরাকারবারীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’

সীমান্তে অপরাধ তৎপরতা দমনে নাইক্ষ্যংছড়ি, গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং এবং যৌথ অভিযান চালানোর পরামর্শ স্থানীয়দের।

এসএইচ