এ সময় পাচার কাজে ব্যবহৃত ১টি লাল রঙের বাজাজ ডিসকভার মোটরসাইকেল ও ১টি বাটন ফোন জব্দ করা হয়। আটক পাচারকারীরা হলো-চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে আব্দুল মমিন ও একই গ্রামের মরহুম খোদা বক্সের ছেলে আবুল কালাম আজাদ।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার ও সহকারী পরিচালক হায়দার আলী জানান, ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যে জানতে পারেন যে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ছয়ঘরিয়া গ্রাম ব্যবহার করে চোরাকারবারীরা ভারতে স্বর্ণ পাচার করবে।
গোপনে সংবাদটি জানার পর অধিনায়কের দিক নির্দেশনায় বিজিবির একটি সশস্ত্র দল সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ছয়ঘরিয়া গ্রামের রাস্তার ওপর অবস্থান নেয়। বিজিবির দলটি একটি মোটরসাইকেল যোগে ২জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে।
ওই সময় তাদের থামার সংকেত দিলে মোটরসাইকেল আরোহীরা মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে।
এ সময় আটক আব্দুল মমিনের কোমরে থাকা স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও আটক পাচারকারীদের কাছ থেকে চোরাচালান কাজে ব্যবহৃত ১টি লাল রঙের বাজাজ ডিসকভার মোটরসাইকেল ও ১টি বাটন ফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পাচারকারীরা ওই স্বর্ণগুলো ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে বহন করছিল বলে স্বীকার করে।
ঘটনার ব্যাপারে হাবিলদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করে আটক পাচারকারীদের থানায় হস্তান্তর করেছে। উদ্ধার করা স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।