নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুর রহমান ও হাসপাতালের কর্মচারীরা জানান, রাত দেড়টার দিকে জনসেবা হাসপাতালের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। এসময় সকালে হাসপাতালের কর্মচারিদের ডেকে দিতে বলেন ডা. আমিনুল ইসলাম। সে অনুযায়ী আজ সকালে হাসপাতালের কর্মচারিরা তাকে বারবার ডাকাডাকি করেন। কিন্তু রুমের ভিতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে পরে কর্মচারিরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে।
এসময় রুমের ফ্লোরে ডা. আমিরুল ইসলামের গলাকাটা মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় হাসপাতালের কর্মচারিরা। পরে খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার আমজাদ হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি পিবিআই আলামত সংগ্রহ করছে।
আরও পড়ুন:
তবে পুলিশ সুপার জানান, পরিকল্পিতভাবে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এসময় তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন এবং বিশেষ অঙ্গ কর্তন করা হয়েছে। তবে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকারীকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে বিকেলে জনসেবা হাসপাতালে ডা. আমিরুল ইসলামের মরদেহ দেখতে আসেন বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। এসময় তিনি বলেন, ‘বর্তমান রাজনীতির পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে ডা. আমিনুলকে হত্যা করা হয়েছে।’
দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।