পল্লবীতে নারী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ
আসামি রুহুল মিয়া
এখন জনপদে
অপরাধ
1

রাজধানীর পল্লবীতে নারীকে অপহরণের পর ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি রুহুল মিয়াকে (৪৫) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-১১।

রোববার (১২ অক্টোবর) র‍্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মো. নাঈম উল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার বরাত দিয়ে র‍্যাব আরও জানায়, নির্যাতিতা ওই নারী ঢাকার পল্লবীতে বসবাস করেন। একই এলাকার বাসিন্দা গ্রেপ্তারকৃত আসামি রুহুল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ওই নারীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করছিল। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্ন সময় অপহরণের হুমকি দিত। বিষয়টি ওই নারী তার বাবা-মাকে জানালে তারা রুহুল মিয়াকে সতর্ক করলেও সে উল্টো উত্ত্যক্তের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুন:

পরে গত ৩ মার্চ ওই নারী পল্লবীর ২০ নাম্বার সড়কে পৌঁছালে রুহুল মিয়া তার সহযোগীদের সহায়তায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে সিএনজিতে তুলে জোরপূর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাকে আটক রেখে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ঘটনার পর নির্যাতিতা নারী বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে রুহুল মিয়া পলাতক ছিলেন।

পরে র‍্যাব-১১ রুহুলকে গ্রেপ্তারের লক্ষে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রুহুলকে সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত রুহুল মিয়া সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানার নতুন সোনামপুর গ্রামের মৃত সমসর মিয়ার ছেলে। সে বর্তমানে রাজধানীর পল্লবীতে বসবাস করছিল।

র‍্যাব আরও জানায়, রুহুলের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে সিলেটের বালাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সে এলাকা ছেড়ে দীর্ঘ সাত বছর ধরে পল্লবীতে আত্মগোপনে ছিল।

তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকার পল্লবী থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সেজু