চব্বিশের চেতনায় সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী, দর্শনার্থীদের ভিড়

সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী
সংস্কৃতি ও বিনোদন
0

সন্ধ্যা নামার পরও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দর্শনার্থীদের ভিড়। সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর আয়োজনে স্মৃতির মানচিত্র ঘিরে এ ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী হয়ে উঠেছে এক সাংস্কৃতিক মিলনমেলা। চব্বিশের চেতনাকে সামনে রেখে, ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে রক্তের যে ঋণ, তারই সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছে এ প্রদর্শনী।

বেলা শেষে সন্ধ্যার আয়োজনে দ্বীপ জ্বেলে সেঁজুতির আলো, আকাশে নোঙর ফেলা শেষ গন্তব্যে জিরিয়ে নিতে পাখিদের আনাগোনা। সন্ধ্যার আকাশে ভিড় জমিয়ে কী দেখছে ওরা? দেখছে মানচিত্র, ষোল আনা বাংলাদেশ।

চব্বিশের রক্তস্রোতে যে ইতিহাস মানচিত্রকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে, তাদের স্মৃতিচিহ্ন ঠাঁই পেয়েছে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর ব্যতিক্রমী এ প্রদর্শনীতে। ছোট্ট শিশু থেকে বৃদ্ধ, লেন্সে, চোখে, হৃদয়ে ধারণ করছে এক পঞ্জিকা আগের স্মৃতি।

রংপুরের আবু সাঈদ থেকে চট্টগ্রামের ওয়াসিম আকরাম কিংবা সাতক্ষীরার আলমগীর শেখ! শহিদ থেকে গাজী, পেশাজীবী কিংবা গণমাধ্যমকর্মী কেউ-ই বাদ যায়নি এ স্মৃতি-সম্মাননায়। চব্বিশের চেতনাকে ধারণ করে ইতিহাসের দায় মেটানোর প্রত্যয় শুনতে পাওয়া যায় অভিভাবকদের কণ্ঠেও।

আরও পড়ুন:

একজন বক্তা বলেন, ‘জুলাই আমাদের স্মৃতিতে ধারণ থাকবে, জুলাইকে আমরা ধারণ করবো প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। অর্থাৎ এ জুলাইকে যারা ক্রেডিট দাবি করে, জুলাইয়ের ইতিহাসকে যারা বিকৃত করতে চায়, তাদের জন্য স্পষ্ট মেসেজ হচ্ছে—এ জুলাই স্মৃতির মধ্য দিয়ে যে ইতিহাস বিনির্মাণ হবে সেটা আগামী দিনে সত্য প্রকাশ করবে। আগামীতেও যেন এ ইতিহাসকে কেউ বিকৃত করতে না পারে সেজন্য আমাদের এ উদ্যোগ।’

প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে যে জাগরণের ঐকতানে ভাসছে এ বাংলাদেশ, তার সুরে বাঁচতে চায় এ আয়োজন।

এসএইচ