‘১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার’

নেপালের জন্য আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার নির্দেশ

অর্থনীতি
0

ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য সরবরাহের সুবিধা বাতিলের পর থেকে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা–সমালোচনা। অনেকেই বলছেন, কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ ছাড়া ভারতের এ সিদ্ধান্ত সুস্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির লঙ্ঘন। যদিও বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর মতে, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি অন্যতম সুযোগ।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান জানান, এরইমধ্যে ১০০টির মধ্যে অপ্রয়োজনীয় ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল চূড়ান্ত বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ (রোববার, ১৩ এপ্রিল) প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাতিল হওয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে ৫টি সরকারি ও ৫টি বেসরকারি। সরকারি অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে কক্সবাজারের সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক, বাগেরহাটের সুন্দরবন ট্যুরিজম পার্ক, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল, গাজীপুরের শ্রীপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল।

অন্যদিকে বেসরকারি অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে, মুন্সীগঞ্জে বিজিএমইএর গার্মেন্টস শিল্প পার্ক, সুনামগঞ্জের ছাতক ইকোনমিক জোন, বাগেরহাটের ফমকম ইকোনমিক জোন, ঢাকার সিটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও অর্থনৈতিক অঞ্চল।

ব্রিফিংয়ের শুরুতে বিনিয়োগ সম্মেলনের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন বিডা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী সরকারেরও উচিত বিনিয়োগ সম্মেলনের মতো আয়োজন করা। বিনিয়োগ সম্মেলনে ৫০টি দেশের ৪১৫ জন বিনিয়োগকারী অংশ নিয়েছেন। এ সম্মেলনে ১৫০টি দাপ্তরিক বৈঠক হয়েছে।’

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান জানান, কোনো বাংলাদেশি যদি দেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসতে পারেন, তাকে প্রণোদনা দিবে সরকার। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলন থেকে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের ঘোষণা এসেছে বলেও জানান তিনি।

সম্প্রতি ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের বিষয়টিও উঠে আসে সংবাদ সম্মেলনে। বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের সিদ্ধান্তকে সুযোগ হিসেবে নিচ্ছি। এর ফলে বাংলাদেশের বিমান বন্দরগুলোকে আরো কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়ার সুযোগ এসেছে।

ব্যয় ও বিনিয়োগের চিত্র উপস্থাপন করে আশিক চৌধুরী বলেন, ‘বিনিয়োগ সম্মেলনে খরচ হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, যা বাজেটের ৪২ শতাংশ কম। ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের ঘোষণা এসেছে এবারের সম্মেলন থেকে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যেন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মেন্যু থেকে বাদ না পড়ে যায়, সে চেষ্টা করেছি আমরা। কোনো বাংলাদেশি বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসলে তাকে প্রণোদনা দেবে সরকার।’

অন্যদিকে প্রেস সচিব জানান, এরইমধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল দ্রুত চালুর জন্য একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

রোববার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নেপালের জন্য আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

আসু