গতকাল (১২ মে) রাতে অধ্যাদেশের মাধ্যমে ৫৩ বছরের প্রতিষ্ঠান জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভেঙে হলো দুই বিভাগ— রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। জারিকৃত অধ্যাদেশে শুধু রাজস্ব নীতি বিভাগের কার্যপরিধিতে সামান্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। আর রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রশাসনিক পদগুলোতে অ্যাডমিন ক্যাডার কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে।
সচিবালয়ে আজ সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন অর্থ উপদেষ্টা।
এনবিআর প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘অধ্যাদেশটা ভালো করে পড়লেই দেখা যাবে যে, তাদের স্বার্থ সম্পূর্ণরূপে সংরক্ষিত আছে। পলিসি একটা ডিভিশন হবে, এটা অত্যন্ত ছোট একটা ডিভিশন। অতএব এনবিআরের দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। এনবিআর থাকবে, এনবিআর যেভাবে আছে কতগুলো টার্মস অব রেফারেন্স হিসেবে।’
ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘রাজস্ব নীতি ও বাস্তবায়ন একই বিভাগ করতে পারে না, এতে জটিলতা বাড়ে।’
গেল ১৬ জানুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এনবিআরকে ভেঙে দু’টি বিভাগ করার সিদ্ধান্ত হয়। রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা এ দু’টি কার্যক্রমকে পৃথকীকরণ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
আরো পড়ুন:
এর পরই জারি হলো রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ ২০২৫। রাজস্ব আহরণ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুটি নতুন বিভাগ গঠন করলো সরকার।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, এর মাধ্যমে এনবিআরকে বিলুপ্ত নয়, বরং দুটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। এতে কাজ সহজ হবে। এনবিআর কর্মকর্তাদের এতে অসন্তোষ হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এনবিআরটা যেভাবে আছে, কয়েকটা টার্মস অব রেফারেন্স আছে, এটা ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাকটিস, পলিসি ডিভিশন আর ইমপ্লিমেন্টেশন ডিভিশন এক থাকে না, সব দেশেই আলাদা থাকে। সুতরাং এনবিআরের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।’
তবে রাজস্ব আহরণে অধ্যাদেশের কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে ২ শতাংশ বেড়েছে, এ বছর আরো বাড়বে।’
ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘এ পর্যন্ত এরই মধ্যেই রাজস্ব আদায় গতবারের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি হয়েছে, যা হতাশাব্যাঞ্জক নয়। তবে আমি আরো আশা করছি।’
এবার বাজেটের আকার কিছুটা কম হবে বলে আভাস অর্থ উপদেষ্টার। ব্যাংক থেকে ধার কিংবা টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করা হবে না বলেও জানান তিনি।