‘ইংল্যান্ডে বাংলাদেশিদের সম্পদ জব্দ হওয়াই প্রমাণ করে দেশ থেকে টাকা পাচার হয়েছে’

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর
অর্থনীতি
1

ইংল্যান্ডে বাংলাদেশিদের সম্পদ জব্দ হওয়াই প্রমাণ করে দেশ থেকে টাকা পাচার হয়েছে। পাচার হওয়া এসব অর্থ ফেরত আনতে শিগগিরই আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আজ (রোববার, ১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

গভর্নর জানান, যুক্তরাজ্যে বেক্সিমকো গ্রুপের সালমান এফ রহমান ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের জব্দকৃত সম্পদ উদ্ধারেও আইনগত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে চাইলে আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারেন সরকার। তারাই ঠিক করবেন, মামলাগুলো ক্রিমিনাল নাকি সিভিল কেস হবে।’

এগুলো পরিচালনার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে উল্লেখ করে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা অপেক্ষাকৃত সহজ। কারণ এ দেশ দুটি তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে। কিন্তু অন্য দেশ থেকে এ প্রক্রিয়ায় পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধার করা কঠিন। তবে সব দেশের সঙ্গেই আলোচনা চলছে।’

এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল কোন প্রক্রিয়াতে টাকাগুলো ফেরত আনা হবে? জবাবে গভর্নর জানান, এসেট রিকভারি করতে বিদেশি ফার্মগুলো ৫০-১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে রাজি হয়েছে। দুবাইয়ে বাড়ি কেনার বিষয়ে গভর্নর জানান, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। টাকা পাচারের অর্থ উদ্ধার কার্যক্রমকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে তাকে নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এনএইচ