আগামী ২০২৫-২৬ প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ব্যয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন খাতে ২ লাখ ৩০ হাজার ও পরিচালন এবং ভর্তুকি ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে সংসদ না থাকায় সোমবার (২ জুন) বিটিভি লাইভে বাজেট ঘোষণা করেন অর্থ উপদেষ্টা।
আগামী বাজেটে যে খরচ করা হবে তার বড় অংশ আসবে রাজস্ব আদায় থেকে। এর মধ্যে এনবিআর ও এর বহির্ভূত খাত থেকে আয় হবে ৫ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা। আর অন্যান্য খাত থেকে ৪৬ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্য রাখা হয়েছে। তবে ঘোষিত বাজেটে ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। যা দেশি-বিদেশি ঋণ থেকে পূরণ করা হবে।
বাজেট তথ্য বলছে, ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎস ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা ও বৈদেশিক উৎস ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। আর পতিত আওয়ামী সরকারের ১৬ বছরে লুটপাট ও পাচারের কারণে যে ঋণের বোঝা চেপে আছে, সে ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ ব্যয় ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা নতুন অর্থবছরে রাখা হয়েছে। তবে বাজেট সঠিকভাবে পরিচালন করে আয় বাড়ানোর মাধ্যমে ঋণের বোঝা কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
অর্থনীতিবিদ ফারুক মঈনউদ্দীন বলেন, ‘সরকারের আয় যদি না বাড়ে, ঋণের বোঝা বাড়বেই। সেটা যে বাজেটের ক্ষেত্রেই বলি না কেন, ঋণ না নেয়ার জন্য যে পদক্ষেপগুলো নেয়া দরকার, সে পদক্ষেপগুলো সরকার নিচ্ছে কি না। এই বাজেটে ঋণ কমানোর কোনো ব্যবস্থা আমরা দেখতে পাচ্ছি না। শুধু প্রত্যক্ষকরণের ওপর নির্ভর করে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব বলে আমি মনে করছি না। সেক্ষেত্রে সরকারের ঋণ নির্ভরতা এই এক বছরে কমবে বলেও আমি মনে করছি না।’
অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, এবারের বাজেট লুটপাটের উন্নয়নে ব্যয় না করে বাস্তব সম্মত করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে এর ঘাটতি পূরণে যে ঋণ নেয়া হবে তার ব্যবহার কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়।