শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা, প্রস্তুত আন্তঃশিক্ষা বোর্ড

ক্লাসে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা
দেশে এখন
শিক্ষা
0

কাল শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার অংশ নেবে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় সময় পেলেও করোনা ও ডেঙ্গুর কারণে শেষ পর্যন্ত সব পরীক্ষা হওয়া না হওয়া নিয়ে শঙ্কা তাদের। আর গত বছরের চেয়ে এ বছর প্রায় এক লাখ পরীক্ষার্থী কমার কারণ হিসেবে পড়াশোনায় অনীহা, আর্থিক অসচ্ছলতা এবং বাল্যবিয়েকেই কারণ হিসেবে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড বলছে, ইতোমধ্যে পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের গুজব এড়াতেও নেয়া হয়েছে সব ব্যবস্থা।

বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ২য় কোনো পাবলিক পরীক্ষা। এবার ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ৯ হাজার ৩১৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী। যেখানে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা ১৫ হাজারেরও বেশি।

২০২৩ সালের অক্টোবরে একাদশের ক্লাস শুরুর পর এবারের পরীক্ষার্থীরা ২০ মাসের বেশি সময় পেয়েছে। এর মধ্যে তাদের প্রস্তুতি কতটুকু হল?

এক শিক্ষার্থী জানান, যতটুকু ভালো করে প্রস্তুতি নেয়া যায়। নিজের মতো ভালো করে চেষ্টা করছি। বাকিটা আল্লাহ ভরসা। আরেকজন জানান, সময় থাকতে যে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম সেটা নিয়ে সন্তুষ্ট। তবে পরীক্ষার মধ্যে তো চাপ থাকবেই।

পরীক্ষার্থীরা যতটুকু সময় পেয়েছে, তাকে খুব একটা কম নয় বলে মনে করেন এই শিক্ষাবিদ। তবে গতবছরের চেয়ে এবার প্রায় ১ লাখ পরীক্ষার্থী কমার কারণও জানালেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘তিনটি কারণ। একটা হচ্ছে এ ধরনের একটা বড় পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য নিজেদের যোগ্য মনে করছে না। আর্থিক সমস্যার কারণে অনেক ছেলেরা কর্মসংস্থানের খোঁজ করছে। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে বিয়ের প্রবণতা দেখা গেছে। ফলে এ সময়ে এসে আমাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে যাচ্ছে।’

তবে এদিকে পরীক্ষা শুরুর আগে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছে। বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের হারও। এসব কারণে শেষ পর্যন্ত সব পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া নিয়ে শঙ্কা অনেক পরীক্ষার্থীর। এ জন্য কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।

এদিকে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড বলছে, সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির অনেকগুলো পর্ব আছে। সবগুলোই কভার করে আসছি। ফলে এ মুহূর্তে কাজের কোনো লেভেল বাকি নেই। আমরা ওয়েল প্রিপেয়ারড।’

প্রশ্ন ফাঁস ও গুজব ঠেকাতে সব রকম প্রশাসনিক ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানান, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান। এনিয়ে অভিভাবক শিক্ষার্থীদেরও সচেতন থাকার আহ্বান তার।

এএইচ