এর আগে শনিবার রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে দারোয়ান কর্তৃক মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ বাধে। এতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। অন্তত ৫০ শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের মধ্যে প্রায় ২০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজন শিক্ষার্থীর শরীরে দেশীয় অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় যারা বিভিন্ন ফ্ল্যাটে আটকে পড়েছিলেন এবং আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছেন, তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা এখন ভিসি মিটিং করছি। স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ প্রশাসনকে ডাকা হয়েছে। ডিজিএফআই ও এনএসআইকেও জানানো হয়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
ঘটনার সূত্রপাত দর্শন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে কেন্দ্র করে। ওই শিক্ষার্থী ২ নম্বর গেটের মাছ বাজার সংলগ্ন শাহাবুদ্দিনের বাসায় ভাড়া থাকেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বাসায় ফিরলে দারোয়ানের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দারোয়ান তাকে মারধর করেন। পরে ছাত্রীটি ফোনে তার এক সহপাঠীকে বিষয়টি জানান।
খবর পেয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী দারোয়ানকে ধরতে গেলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। পাল্টা শিক্ষার্থীরাও চবির সোহরাওয়ার্দী হলের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে অংশ নেন। এতে ব্যাপক সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।