বিবাদী আনিছুর রহমান মিলন (২৫) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শাহ মখদুম হল শাখা ছাত্রদলের সদ্য বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি। একই হলের ২০১ নম্বর কক্ষে থাকেন তিনি। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার টেটিয়ারকান্দা গ্রামে। তার বাবার নাম আইয়ুব আলী এবং মায়ের নাম মোছা. আঞ্জুয়ারা খাতুন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুলাই-৩৬’ হলের প্রভোস্ট কর্তৃক ৯১ জন শিক্ষার্থীকে অযাচিতভাবে তলব করার প্রতিবাদে গত ২ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জান্নাতুন নাঈম তুহিনা তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে একটি প্রতিবাদমূলক স্ট্যাটাস প্রদান করেন। উক্ত স্ট্যাটাসে বিবাদী মো. আনিছুর রহমান মিলন (২৫) অত্যন্ত অশালীন, কুরুচিপূর্ণ ও নারী অবমাননাকর মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন:
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, এ ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে একাধিকবার বিবাদী মো. আনিছুর রহমান মিলনের সহিত যোগাযোগ করা হলেও তিনি সন্তোষজনক জবাব না দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, তিনি উক্ত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন। ফলে ছাত্রদল সংগঠনের পক্ষ থেকে বিবাদীকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ ও হল সহ-সভাপতির পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে। এমন কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর মন্তব্যের মাধ্যমে শুধু নারী নেত্রীকে মানসিকভাবে আঘাত করা হয়নি, বরং সংগঠনের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। বিবাদীর এ কার্যক্রম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এবং বাংলাদেশ দণ্ডবিধির প্রযোজ্য ধারা অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, যে বা যারাই নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করবে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই ৩৬ হলে রাত ১১টার পর প্রবেশ করা ছাত্রীদের 'বিনা পারিশ্রমিকে যৌনকর্মী' বলা সেই ছাত্রদল নেতার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই-৩৬ হলের ছাত্রীরা।