ভারতে বন্যা সতর্কতায় রেড অ্যালার্ট জারি, নিহত আরও ৮

বন্যায় ভেসে গেছে পাঞ্জাবের কয়েকটি জেলা
বিদেশে এখন
0

ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ভারতের জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ওড়িশা ও পাঞ্জাবের কিছু অংশে বন্যা সতর্কতায় জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। যমুনা নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে আশপাশের এলাকা। বন্যা ও ভূমিধসে নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন। এদিকে, রাভি ও চেনাব নদীর পানি বাড়ায় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুলতান ও মুজাফফরগড়ে আবারও দেখা দিয়েছে বন্যার শঙ্কা ।

হুহু করে বাড়ছে ভারতের যমুনা নদীর পানি। একদিনেই ভারী বৃষ্টিতে যমুনা নদীর একটি বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। যমুনার পানি ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ।

এরইমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে রাজধানী নয়াদিল্লির রাস্তাঘাট, শ্মশান, উপাসনালয়সহ আবাসিক ভবন। যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদী তীরবর্তী ১০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন। এখন নিখোঁজ অনেকে।

ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বেশ কয়েকটি রাজ্যে বন্যা সতর্কতায় জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও পাঞ্জাবের কিছু অংশে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে বিভিন্ন নদীর পানি। ভারী বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর ও হিমাচল প্রদেশের পার্বত্য অঞ্চলে। রাস্তাঘাট ভেঙে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাজ্যগুলো।

আরও পড়ুন:

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে বেশকিছু অংশে ভারী বৃষ্টিতে দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। প্লাবিত হয়েছে শত শত হেক্টর ফসলি জমি ও গ্রাম। টানা দুই সপ্তাহের বৃষ্টিতে ডুবে গেছে পাঞ্জাবের বেশিরভাগ অঞ্চল। আগামী ৭ তারিখ পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। বন্যা কবলিত পাঞ্জাবের অন্তত ২৩টি জেলা।

এদিকে, টানা বৃষ্টিতে রাভি ও চেনাব নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মুলতান ও মুজাফফরগড়ে আবারও দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা। সেই সঙ্গে ভারতের পানি ছেড়ে দেয়া নিয়ে নতুন করে আতঙ্কে রয়েছেন বাসিন্দারা। বন্যা মোকাবিলায় বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া, চেনাব নদীর পানি বেড়ে একটি রেল সেতু ডুবে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে ফয়সালাবাদ থেকে করাচি ট্রেন চলাচল।

পাকিস্তানে গেল কয়েক সপ্তাহের প্রবল বৃষ্টি ও ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে গোটা পাঞ্জাবের প্রায় ৪ হাজার গ্রাম। প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত অর্ধশত মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রদেশটির ৩৭ লাখের বেশি বাসিন্দা।

ইএ