র্যাংকড-চয়েস ভোটিং পদ্ধতিতে কম পছন্দের প্রার্থীদের ভোট বাদ দিয়ে তা শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে পুনর্বণ্টন করা হয়।
প্রাথমিক এ জয়ের পর মামদানি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কের ডেমোক্র্যাটরা একটি সাশ্রয়ী, ন্যায্য এবং সাহসী ভবিষ্যতের জন্য ভোট দিয়েছেন। তারা এমন একটি নেতৃত্ব চেয়েছেন যা করপোরেট আধিপত্য এবং ক্রমবর্ধমান স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নেয়।’
৩৩ বছর বয়সী মামদানি নির্বাচনে একটি স্পষ্ট প্রগ্রেসিভ প্ল্যাটফর্ম নিয়ে অংশ নেন—যার মধ্যে ছিল ধনীদের ওপর বাড়তি কর, ভাড়ার স্থগিতাদেশ, এবং গণপরিবহনকে সবার জন্য বিনামূল্যের করা। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই নিউইয়র্কের রাজনীতিতে প্রগ্রেসিভ আন্দোলনের মুখ হিসেবে পরিচিত।
অন্যদিকে, সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোরের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এ ফল শুধু একটি নির্বাচনী উপ-গোষ্ঠীর মতামত প্রতিফলিত করে। আমরা এখনো নিউইয়র্ক বাসীর সঙ্গে আলোচনায় রয়েছি এবং পরবর্তী পদক্ষেপ বিবেচনা করছি।’
কুমোর বিরুদ্ধে চার বছর আগে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। এজন্য তাকে বাধ্য হয়ে গভর্নরের পদ ছাড়তে হয়। এবার তৃতীয় পক্ষের সমর্থন নিয়ে নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে ভাবছেন তিনি। তার ঘনিষ্ঠ মহল ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তার অনেক সমর্থক হয়তো বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামসের দিকে ঝুঁকতে পারেন, যিনি এবার স্বাধীন প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বর্তমান মেয়র অ্যাডামস দুর্নীতি এবং জনসেবায় অবহেলার অভিযোগে ব্যাপক জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। তিনি এখন মধ্যপন্থী ও রক্ষণশীল ভোটারদের সমর্থন পেতে নতুন করে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে ‘খুব ভালো মানুষ’ উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি আমাকে একাধিকবার সাহায্য করেছেন।’
তবে ট্রাম্প মামদানিকে সতর্ক করে বলেন, ‘আমাদের দেশে কমিউনিস্টদের জায়গা নেই। তবে যদি কেউ থাকেন, আমি তার ওপর খুব নিবিড়ভাবে নজর রাখব।’
নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, মামদানির এ জয় নিউইয়র্কের রাজনৈতিক মানচিত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করল। অনেকের মতে, এ ফল কেবল স্থানীয় রাজনীতির গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ নয়—জাতীয় পর্যায়ে প্রগ্রেসিভ আন্দোলনের একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবেও প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচন ঘিরে নিউইয়র্কে রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। মামদানি, অ্যাডামস ও সম্ভবত কুমো—তিনটি ভিন্ন ধারার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন, যা নিউইয়র্কের ভবিষ্যৎ রাজনীতিকে এক নতুন চেহারা দিতে পারে। সেই সঙ্গে রিপাবলিকান মেয়র প্রার্থী কোর্টিস স্লিওয়া তো আছেনই।