যুক্তরাজ্য ইউরোপ থেকে বেরিয়ে আসায় ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে ব্রিটেনের শ্রম বাজারে বিভিন্নখাতে দক্ষ কর্মীর সংকট রয়েছে। আগের মতো ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে ব্রিটেনে আসা লোকসংখ্যাও কমেছে। তাই বেড়েছে দক্ষ কর্মীর চাহিদা। এর মধ্যে অন্যতম তথ্য প্রযুক্তি খাত।
এতে বিভিন্ন স্কিমে দক্ষ ব্যক্তিদের ব্রিটেনে আনতে চেষ্টা করছে দেশটির সরকার। এ খাতে বাংলাদেশ থেকেও সরাসরি ব্রিটেনে আসার সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে।
আইটি খাতে ক্যারিয়ারের জন্য নন আইটি ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেও অনেকেই সুযোগ পাচ্ছেন এখানে। এ বিষয়ে পড়াশোনা না থাকলেও যেকোনো বিষয়ে ডিগ্রিপ্রাপ্তরা চাইলেই প্রাথমিক ধারণা নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন কাজে যোগ দিতে পারেন।
একজন যুক্তরাজ্য প্রবাসী বলেন, 'বিভিন্ন প্রযুক্তিতে যারা নিজেদের একটু দক্ষ করে নিতে পারে তাদের জন্য এখানে অনেক সুযোগ রয়েছে।'
বাংলাদেশ থেকে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে পড়তে এসে অনেকেই ব্রিটেনের তথ্য প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন কোম্পানিতে ভালো অবস্থানে চাকরি পাচ্ছেন। সহজ হচ্ছে তাদের স্থায়ী হওয়ার সুযোগও।
অন্য এক প্রবাসী জানান, 'আমি লন্ডনে ডাটা প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করছি, এখানে এসে এর উপর একটা কোর্স করে এখানে কাজের সুযোগ পেয়েছি। যারা বাংলাদেশ থেকে আসতে চায় তারা অল্প কিছু শিখে আসলেই এখানে কাজ করতে পারবে।'
আইটি খাতে দক্ষরা ব্রিটিশ সরকারের নতুন ঘোষিত গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা নিয়েও আসতে পারেন ব্রিটেনে।
ব্রিটেনে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ ব্যক্তিদের কাজের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। অ্যাপল, গুগল, মাইক্রোসফট, আমাজনের মতো বড় কোম্পানিগুলোতে দক্ষ কর্মীর সংকট রয়েছে। চাকরিদাতা কোম্পানিগুলোর সাথে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে থাকা দক্ষ ব্যক্তিরা ওয়ার্ক পারমিটের মাধ্যমে আসতে পারেন ব্রিটেনে। দক্ষতা থাকলে কোনো খরচ আর ঝামেলা ছাড়াই আসা যাবে ব্রিটেনে। এমনটাই বলছেন ব্রিটেনে তথ্য প্রযুক্তি খাতে কর্মরত বাংলাদেশিরা।