৩০ ঘণ্টার সাময়িক যুদ্ধবিরতির পর রোববার স্থানীয় সময় মধ্যরাতে ফের ইউক্রেন জুড়ে তীব্র ড্রোন হামলা শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনের খেরসন, মিকোলাইভ, জাপোরিঝিয়াসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলে একযোগে এ হামলা চালানো হয়।
ইস্টার সানডে উপলক্ষ্যে শনিবার ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও, একের অপরের প্রতি পাল্টাপাল্টি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। কিয়েভ বলছে, ইউক্রেনে প্রায় ৩ হাজার হামলা করেছে মস্কো। অপরদিকে ক্রেমলিনের অভিযোগ, রুশ ভূ-খণ্ড লক্ষ্য করে প্রায় সাড়ে ৪শ' রকেট নিক্ষেপ করেছে ইউক্রেন।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই এবার ৩০ দিনের জন্য ইউক্রেনে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইস্টার সানডেতে দেয়া এক বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা লড়ে যাচ্ছি। আমরা জানি কেন যুদ্ধ করে যাচ্ছি। সময় যতই কঠিন হোক, নিজেদের প্রতি আত্মবিশ্বাস হারাবো না কখনো।’
তবে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের এমন আহ্বান সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এদিকে, ন্যাটোতে যোগদান ইস্যু কেন্দ্র করে ইউক্রেন যুদ্ধের সূত্রপাত হলেও, এবার সেই ইস্যুটিই চাপা পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনায়। রোববার মার্কিন বিশেষ দূত জেনারেল কেইথ কেলগ বলেন, এ সপ্তাহে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় মার্কিন প্রতিনিধি দল লন্ডনে আসার কথা রয়েছে। তবে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদান নিয়ে কোন আলোচনা হবে না সেখানে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মার্কিন বিশেষ দূত কেইথ কেলগ বলেন, ‘সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা এগিয়ে যাচ্ছে। লন্ডনে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে। তিন মাসের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিষয়টির একটি সমাধান দেবেন।’
তবে, এতকিছুর পরও আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি চুক্তি সইয়ের বিষয়ে আশাবাদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি। যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর দুই দেশই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করে তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।