অপারেশন সিন্দুরের ২ দিনের মাথায় ভারতের ওপর পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার পর চালানো হয় এ হামলা। ভারতীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, যুদ্ধবিমান, মিসাইল, ড্রোন ও আর্টিলারি শেল ব্যবহারের খবর মিলেছে। গণমাধ্যমটির দাবি, সবকটি মিসাইল প্রতিহত করেছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এছাড়াও ভূপাতিত করা হয়েছে ২টি জেএফ-১৭ ফাইটার জেট ও ১টি এফ-১৬ ফাইটার জেট। এর মধ্যে একটি ড্রোনের আঘাত হেনেছে জম্মু বিমানবন্দরে। এখন পর্যন্ত প্রাণহানি কিংবা হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
হামলা মোকাবিলায় এস-৪০০, এল-৭০, জেড এস ইউ-২৩ ও চিলকা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করা হয়েছে। হামলার জেরে পুরো জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও গুজরাটের বেশ কিছু এলাকা ব্ল্যাকআউটের শিকার। এমন পরিস্থিতিতে তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোনও সীমা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। আমি জনগণকে আশ্বস্ত করছি যে ভবিষ্যতেও আমরা যে কোনো ধরনের পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া জানাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’
এখন পর্যন্ত ভারতের ওপর হামলার কথা স্বীকার করেনি পাকিস্তান সরকার কিংবা সামরিক বাহিনী। উল্টো পাক গণমাধ্যম জিও নিউজের দাবি, আজাদ কাশ্মীরের বেশ কিছু এলাকায় আর্টিলারি শেলের মাধ্যমে হামলা চালিয়েছে ভারত। এমনকি পাকিস্তানের হামলার পর ভারত লাহোরে পাল্টা হামলা চালিয়েছে বলেও খবর প্রকাশ করেছে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম।
এর আগে ইসরাইলে তৈরি ভারতের ২৫টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি করেছে ইসলামাবাদ। তবে ভারতের ১৫টি শহরে হামলার চেষ্টার অভিযোগকে কল্পকাহিনী হিসেবে উল্লেখ করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। অন্যদিকে নয়াদিল্লির সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ার করে রেখেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর খাজা আসিফ।
আমরা বেসামরিক স্থাপনায় হামলা থেকে বিরত থাকবে। তবে অবশ্যই তাদের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হবে। এর মধ্যে থাকবে সামরিক ঘাঁটি, সম্মুখ সারি এবং ভারতের স্থল, নৌ এবং আকাশসীমার অভ্যন্তরে।
এদিকে, ভারত ও পাকিস্তানকে উত্তেজনা কমিয়ে শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেলবিজয়ী মালালা ইউসুফজাই। বেসামরিক নাগরিক বিশেষ করে শিশুদের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়ে জোর দেন তিনি। এছাড়া, অপারেশন সিন্দুরের একদিন পরই ভারত সফরে গেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে তেহরানও।