ফেব্রুয়ারিতে সুইজারল্যান্ডে প্রতিষ্ঠিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন বা জিএইচএফ যুদ্ধকবলিত গাজা উপত্যকায় শুরু করতে যাচ্ছে ত্রাণ বণ্টন কার্যক্রম, যা দেখভালের দায়িত্বে সরাসরি জড়িত থাকবে যুক্তরাষ্ট্র, এমনটাই বলছে জেনেভা কমার্শিয়াল রেজিস্ট্রি।
মার্কিন নিরাপত্তা ও লজিস্টিক সংস্থা ইউজি সলিউশন্স ও সেইফ রিচ সলিউশন্সের সাথে একসঙ্গে কাজ করবে জিএইচএফ। এ পর্যন্ত ১০ কোটি ডলারের বেশি তহবিলও পেয়েছে সংস্থাটি। কিন্তু এ অর্থের উৎস কী, সেটি অজানা।
গাজায় নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী ত্রাণ সরবরাহ শুরু করতে দখলদার ইসরাইলের সাথে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও ইসরাইল বলছে, ত্রাণ সরবরাহে যুক্ত থাকবে না দেশটি, কিন্তু জিএইচএফের কাজে বাধাও দেবে না।
জিএইচএফের নথি বলছে, চারটি সুরক্ষিণ ত্রাণ বিপণন কেন্দ্র থেকে প্রায় ১২ লাখ মানুষকে খাদ্য, পানিসহ জরুরি পণ্য পৌঁছে দেয়াই প্রাথমিক লক্ষ্য। ইসরাইলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সবগুলো কেন্দ্রই কাজ করবে গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ত্রাণের পণ্য পৌঁছে দেবে এসব কেন্দ্রে।
সেখান থেকে বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ত্রাণ বণ্টনে সহায়তা করবে। তবে, জিএইচএফের সাথে কাজ করতে সম্মতি দেয়া দাতব্য সংস্থাগুলোর নাম গোপন রাখা হয়েছে। পরিকল্পনায় যুক্ত থাকবে না বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ বলছে, ত্রাণ বণ্টনে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা আর স্বাধীনতার মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প পরিকল্পনা। এ পরিকল্পনার ফলে ত্রাণ বণ্টন সুনির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে সীমিত থাকে, ফলে বাকিদের প্রয়োজন উপেক্ষিত থাকবে বলেও অভিযোগ করা হয়।
দেড় বছরের ইসরাইলি আগ্রাসনে ধ্বংসস্তূপ আর মৃত্যুপুরীতে রূপ নেয়া গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার জন্য বিকল্প ত্রাণ পরিকল্পনা কার্যকরে নষ্ট করার মতো সময় নেই বলেও জানান জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার।
গাজায় জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থার ত্রাণ কার্যক্রমের আড়ালে হামাস সুবিধাভোগী অভিযোগে ২ মার্চ থেকে উপত্যকায় সব ধরনের ত্রাণ ও বাণিজ্যিক পণ্য প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরাইল। ৮৬ দিনের অবরোধে অনাহার আর অপুষ্টিতে প্রাণ গেছে ৩০০ বেশি মানুষের।