১০ দিনের মধ্যে বৈশ্বিক শুল্কনীতি স্থগিতের নির্দেশ মার্কিন ফেডারেল আদালতের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
বিদেশে এখন
0

বিশ্বব্যাপী সম্পূরক শুল্কারোপের মাধ্যমে কর্তৃত্বের সীমা অতিক্রম করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাই ১০ দিনের মধ্যে বৈশ্বিক শুল্কনীতি স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন ফেডারেল আদালত। যদিও রায় ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই এর বিরুদ্ধে আপিল করে ট্রাম্প প্রশাসন। বিশ্লেষকরা বলছেন, রায়ে সাময়িক স্বস্তি ফিরলেও এতে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারেন ট্রাম্প।

মার্কিন শুল্ক নিয়ে নাটকীয়তায় এবার যোগ হলো নতুন অধ্যায়। প্রেসিডেন্ট ঘোষিত বিদেশি পণ্যে সম্পূরক শুল্কারোপ কার্যকর আটকে দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালত।

মঙ্গলবার (২৭ মে) দ্যা কোর্ট অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের ৩ বিচারকের প্যানেল এক রায়ে জানান, গেলো ২ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী সম্পূরক শুল্কারোপের ঘোষণা দেয়ার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট তার কর্তৃত্বের সীমা অতিক্রম করেছেন। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতি তার ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল করে রেখেছেন। মার্কিন সংবিধান বাণিজ্যিক সম্পর্ক নির্ধারণ করার বিশেষ অধিকার দিয়েছে কংগ্রেসকে।

আদালত জানান, ১৯৭৭ সালের কেন্দ্রীয় জরুরি অর্থনীতি আইন ব্যবহারের মাধ্যমে শুল্কারোপ করার অধিকার নেই ট্রাম্পের। তাই শুল্কারোপ স্থগিত করতে হোয়াইট হাউজকে ১০ দিনের সময় দিয়েছেন ফেডারেল কোর্ট। যদি যুক্তরাষ্ট্রের সবগুলো আদালত একই রায় দেন, সেক্ষেত্রে যারা অতিরিক্ত শুল্ক পরিশোধ করেছেন, তাদেরকে সুদসহ অর্থ ফেরত দিতে হবে মার্কিন প্রশাসনকে।

তবে রায় ঘোষণার কয়েক মিনিটের মাথায় আপিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ জানায়, অনির্বাচিত বিচারকের প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত বাতিলের এখতিয়ার নেই। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধারে সবধরনের নির্বাহী আদেশ জারির ক্ষমতা রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়ে সরাসরি প্রতিক্রিয়া না দেখালেও, ট্রুথ সোশাল হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন একটি ছবি। যেখানে লেখা ঈশ্বর প্রদত্ত মিশন বাস্তবায়নে এসেছেন তিনি। লক্ষ্যপূরণে কেউ তাকে আটকাতে পারবে না।

এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, হোয়াইট হাউজ আমলে না নিলেও, আদালতের সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রশাসনের জন্য বড় ধাক্কা। তবে শঙ্কা রয়েছে, প্রশাসনের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে আরও আগ্রাসী পদক্ষেপ নিতে পারেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি প্রধান অর্থনীতিবিদ টিম হারকোর্ট বলেন, ‘কিছুক্ষেত্রে সবার মধ্যে স্বস্তি ফিরবে। কারণ এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীন ও ইইউ’র বাণিজ্য যুদ্ধের অবসান হবে। তবে বিপরীতে এটি ট্রাম্পের জন্য উষ্কানি হিসেবে কাজ করতে পারে।’

এদিকে আদালতের রায়কে মধ্যবিত্তদের জয় হিসেবে অভিহিত করেছেন ডেমোক্র্যাটরা। বিপরীতে বিচারিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ ক্ষমতাসীন রিপাবলিকানদের।

এসএইচ