অভিনব বাদ্যযন্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে গাজর দিয়ে। শুধু গাজার নয়, স্কোয়াশ, কুমড়া, লাউ দিয়েও বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র তৈরি করেছেন লন্ডন ভেজিটেবল অর্কেস্ট্রার সদস্যরা। সবজি দিয়ে তৈরি এসব বাদ্যযন্ত্রের সুরে মুগ্ধ দর্শনার্থীরাও।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অভিনব এই বাদ্যযন্ত্রে তৈরির পেছনে কারিগর হিসেবে রয়েছেন চার শিল্পী। ধ্রুপদী সঙ্গীতের পাশাপাশি পপ ও হিপহপ সুরও বাদ্যযন্ত্রে তুলতে পারেন তারা। জানান শখের বশেই এমন উদ্যোগ তাদের।
শিল্পীদের একজন বলেন, ‘এটি অনেক বছর আগে শুরু হয়েছিল যখন আমার এক বন্ধু আমাকে ফোন করে বলেছিল, তুমি কি জাপানে এমন কাউকে দেখেছো যে গাজর দিয়ে রেকর্ডার তৈরি করে? সে জানত যে আমি একজন রেকর্ডার নির্মাতা। এরপর থেকেই শুরু। আমি গাজরের টুকরো ব্যবহার করি। এটি তৈরি করতে আমার প্রায় ২০ মিনিট লাগে।’
আরেকজন বলেন, ‘আমি এই বাদ্যযন্ত্র বাজাতে বেশ উপভোগ করি। মাঝে মাঝে এটি বেশ ক্লান্তিকর। ১০-১৫ মিনিটের পারফর্মেন্সের পর মুখে কিছুটা ব্যথা শুরু হয়, তাই একটু বিরতি প্রয়োজন। গাজরের মতো বাদ্যযন্ত্রগুলো কিছুক্ষণ বাজানোর পর কিছুটা নরম হতে শুরু করে। তাই, এগুলো শক্ত করার জন্য আপনাকে সবজিগুলো আবার জলে রাখতে হবে।’
লন্ডন ভেজিটেবল অর্কেস্ট্রার সদস্যরা সবজি দিয়ে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র তৈরিতে সময় নেন মাত্র ২০ মিনিট। বাদ্যযন্ত্র দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরাও। রাস্তায় সঙ্গীত পরিবেশনের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের টেলিভিশন অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন শিল্পীরা। এমনকি রার্জা তৃতীয় চালর্সের সঙ্গে দেখাও করেছেন তারা।