শীতল আবহাওয়ার দেশ যুক্তরাজ্যের মানুষ এবার গরমে হাঁসফাঁস করছেন। তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। শনিবার (২১ জুন) ছিল চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে গরম অনুভূত হয়েছে অনেক বেশি। অতিরিক্ত গরমে দিনের একাংশে রাস্তায় গাড়ি চলাচলও সীমিত দেখা যায়। ভ্যাপসা গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই ভিড় করছেন লেক কিংবা জলাশয়ের ধারে। কেউ কেউ উপভোগ করছেন বোট রাইডিংয়ের আনন্দ। রীতিমতো অতিষ্ঠ জনজীবন, ছন্দপতন ঘটছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়। দিনের বেলা বাসা বাড়িতে থাকা কষ্টসাধ্য হওয়ায় খোলা জায়গায় গাছের ছায়া কিংবা পার্কগুলোতে শীতল হাওয়া খুঁজছেন মানুষজন।
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসীরা জানান, শীতপ্রধান দেশ হওয়ায় এখানে ঘরবাড়িগুলো অই স্ট্রাকচারে বানানো। তাই এবারের গরমে আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। বাচ্চাদের নিয়ে আমরা বাসায় থাকতে পারছি না। এখানে বাড়িঘরে এসি থাকে না। তাই গরমের এই সময়টা ঘুমানো খুব সমস্যা হয়ে যায়।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে তীব্র গরমে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে প্রায় ৬০০ মানুষের মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি, ঝুঁকিপূর্ণ রাজধানী লন্ডন। এ সময় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি হচ্ছে হিট স্ট্রোকের। তাই পরিবারের বয়স্ক, অসুস্থ সদস্য এবং শিশুদের প্রতি বাড়তি নজর দেয়ার পরামর্শ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের।
যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. জাকী রেজওয়ানা আনোয়ার বলেন, ‘লক্ষ্য রাখবেন বাসায় বয়স্ক ও শিশুরা যেন ডিহাইড্রেটেড না হয়ে যায়। সি হচ্ছে ক্রস ভ্যান্টিলেশন। মানে আপনি যখন বাসার জানালা খুলবেন তখন একসঙ্গে সবগুলো জানালা খুলবেন যেন বাতাস খেলা করতে পারে। এম হচ্ছে মেডিকেশন। গরমে অনেকের অ্যাজমা সমস্যা বেড়ে যায়, যারা এন্টিস্টেমিন খান বা নেবুলাইজার যাদের ব্যবহার করতে হয় তারা বাইরে যখন যাবেন সাথে করে ওষুধ নিয়ে যাবেন।’