বিতর্কিত বিল নিয়ে ‘যুদ্ধে জড়িয়েছেন’ ট্রাম্প-মাস্ক

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক
বিদেশে এখন
0

ট্রাম্পের বিতর্কিত বিল নিয়ে মার্কিন সিনেটে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ম্যারাথন ভোট। বিশাল অঙ্কের কর ছাড় ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ কমানোয় বিলের বিরোধিতায় বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান সিনেটর। আইন প্রণেতাদের মতবিরোধের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিল নিয়ে ‘যুদ্ধে জড়িয়েছেন’ ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক।

রিপাবলিকান শিবিরে বিভক্তির মধ্যেই বিল নিয়ে ম্যারাথন ভোটে ব্যস্ত মার্কিন সিনেট। ভোটাভুটির দ্বিতীয় দিন চললেও ট্রাম্পের বিতর্কিত ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেননি আইনপ্রণেতারা। দেশটির স্বাধীনতা দিবস ৪ জুনের আগে ট্রাম্পের বিল পাসের প্রতিশ্রুতি নিয়েও বাড়ছে শঙ্কা।

৯৪০ পৃষ্ঠার বিলে যেমন বিশাল অঙ্কের কর ছাড়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ঠিক তেমনি সামাজিক সুরক্ষা খাতে কমানো হচ্ছে বরাদ্দ। কংগ্রেশনাল বাজেট অফিসের দাবি, বিলটি পাস হলে আগামী দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণে যোগ হবে আরও ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি ২০৩৪ সাল নাগাদ বীমার আওতার বাইরে চলে যাবেন প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ।

এই বিল নিয়েই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তি ও শীর্ষ ধনকুবেরের মধ্যকার দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। তাই ভোটাভুটির মধ্যেও একে অপরকে ঘিরে তীব্র সমালোচনায় মুখর ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক। টেসলা সিইও জানান, বিতর্কিত বিলটি পাস হলে নতুন দল আমেরিকা পার্টি খুলবেন তিনি।

বিপরীতে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয়া ভতুর্কির পরিমাণ খতিয়ে দেখার কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাল্টা জবাব হিসেবে এখনই সব ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন মাস্ক নিজেই।

বিশ্লেষকদের ধারণা, নাটকীয়তা সত্ত্বেও সিনেটে পাস হয়ে যাবে ট্রাম্পের বিতর্কিত এই বিল। তবে দ্যা হিলের প্রতিবেদন বলছে, কংগ্রেসে ৬ রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা না ভোট দেয়ার পরিকল্পনা করছেন। এমন পরিস্থিতিতে তৈরিতে হতে পারে মার্কিন রাজনীতির অচলাবস্থা।

সেজু