ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে ক্ষোভ ঝাড়লেন মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
বিদেশে এখন
2

কৃষকের স্বার্থের সঙ্গে কখনো সমঝোতা করা হবে না। ভারতের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। যদিও বক্তৃতায় শুল্কারোপের কথা উল্লেখ করেননি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। এমন পরিস্থিতিতে এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে মোদির সম্ভাব্য চীন সফরের কথা ওঠে আসছে গণমাধ্যমে। ৭ বছর পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাব্য চীন সফরকে গুরুত্ব সহকারে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।

ভারতের পণ্যে দ্বিতীয় দফায় ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের পর শুল্ক পৌঁছেছে ৫০ শতাংশে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপিত দেশের তালিকায় ব্রাজিলের সঙ্গে শীর্ষস্থান ধরে রাখলো ভারত। এককালের বন্ধু ট্রাম্পের এমন কঠোর পদক্ষেপ মেনে নিতে পারেননি মোদি। তাই শুল্কারোপের পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় ক্ষোভ ভারতের সরকার প্রধানের কণ্ঠে।

প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ভারত সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার কৃষকের স্বার্থ। তাদের স্বার্থের সঙ্গে কখনো সমঝোতা করা হবে না। যদিও মার্কিন শুল্কের কথা উল্লেখ করেননি মোদি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘কৃষকের কল্যাণকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। ভারত নিজেদের কৃষক, পশুপালক ও মৎস্যজীবীদের কল্যাণের সঙ্গে কখনো সমঝোতা করবে না। ব্যক্তিগতভাবে এর জন্য আমাকে বড় মূল্য পরিশোধ করতে হবে। তবে এর জন্য আমি প্রস্তুত।’

এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের বৈরিতায় নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে চীন। ভারতের ওপর নতুন শুল্কারোপের কিছুক্ষণের মধ্যেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে আসে মোদির আসন্ন চীন সফরের প্রসঙ্গ। সরকারের সূত্র বলছে, আগামী ৩১ আগস্ট সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে অংশ নিতে তিয়ানজিন যাবেন নরেন্দ্র মোদি। দুই দিনের সফরে মোদির সঙ্গে শি জিনপিংয়ের বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।

২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনের সেনারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায়। এরপর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে ভর করে শীতলতা। তাই ৭ বছর পর মোদির সম্ভাব্য চীন সফরকে গুরুত্ব সহকারে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের সঙ্গে ভারতের হাত মেলানো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কড়া বার্তা হিসেবে কাজ করবে।

ভারতের সাবেক কূটনীতিক আশোক সাজ্জানহার বলেন, ‘ট্রাম্প মোদিকে এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে বাধ্য করেছেন। এটি বড় বার্তা বহন করছে। বৈঠকে অংশ নেয়ার অর্থ চীনের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করা নয়। বরং এটি ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্ক বিরোধিতার বার্দা বহন করবে।’

১৯৯০ এর দশকে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের তালিকায় নাম লেখায় ভারত। যা মেনে নিতে না পেরে নয়াদিল্লির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। ২০০১ সালে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর থেকে পরবর্তী আড়াই দশকে দুই দেশের সম্পর্ক পৌঁছায় নতুন উচ্চতায়। ভারতীয় পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ ইস্যুতে বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ লোকসভায় বিতর্ক করবেন আইনপ্রণেতারা।

ইএ