রাশিয়া-ভারত বাণিজ্যে টানাপড়েনের মধ্যেই পুতিন আসছেন নয়াদিল্লি

মস্কোয় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অজিত দোভাল
বিদেশে এখন
0

রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করায় ভারতের ওপর জরিমানাস্বরূপ শুল্ক চাপানোর একদিন পরই দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসে মস্কো এবং নয়াদিল্লি। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল সঙ্গে বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যিক উত্তেজনার মধ্যেই চলতি বছরে ভারত সফরে যাচ্ছেন পুতিন। এদিকে নয়াদিল্লি অভিযোগ করছে, রাশিয়া থেকে ইইউ বেশি পণ্য আমদানি করলেও শাস্তি দেয়া হচ্ছে ভারতকে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর মস্কোর জ্বালানি তেল কেনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে ইউরোপ। মূলত এরপর থেকেই সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের শীর্ষ ক্রেতা হয়ে উঠে ভারত এবং চীন। রুশ অর্থনীতিকে চাপে ফেলার পশ্চিমা প্রচেষ্টা অনেকটাই ব্যর্থ হয়ে যায়।

এছাড়াও ২০১৮ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র আর সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ে সাড়ে ৫০০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত। তবে সরবরাহ প্রক্রিয়ার জটিলতায় এসব সরঞ্জাম ভারতে আসবে ২০২৬ সালের শেষদিকে। যা নিয়ে এরইমধ্যে পশ্চিমাদের চক্ষুশূলে পরিণত হয় ভারত।

এবার রাশিয়ান তেল কেনার দায়ে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক জরিমানা করেন ট্রাম্প। এতে ভারতীয় পণ্য রপ্তানির ওপর মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। এতে মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের বন্ধুত্বের সম্পর্ক তিক্ততায় পরিণত হচ্ছে।

আরও পড়ুন:

এমন অবস্থায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। বৈঠকের বিস্তারিত প্রকাশ করেনি ক্রেমলিন। তবে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

বৈঠকে পরই অজিত দোভাল জানান, চলতি বছরের শেষদিকে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের চলমান বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে পুতিনের এ সফর বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন পুতিন।

এদিকে নয়াদিল্লি অভিযোগ করে রাশিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে পণ্য আমদানি করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু ভারতকেই দোষারোপ করা হচ্ছে। গেলো বছর রাশিয়ার কাছ থেকে ভারতের তুলনায় ইইউ বেশি পণ্য বাণিজ্য করেছে। তবে এখন পর্যন্ত রুশ পণ্য আমদানির শীর্ষে আছে চীন। বেইজিংয়ের ওপরও উচ্চ শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।

সেজু