টানা তিনদিন ধরে ইতালির ভিসুভিয়াস জাতীয় উদ্যানে আগুন জ্বলতে থাকায় দর্শনার্থীদের আনাগোনা ও সবগুলো হাইকিং রুট বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছেন ইউরোপের বলকান অঞ্চল কসোভোর দমকলকর্মীদের।
স্পেনের উত্তরাঞ্চলে দাউ দাউ জ্বলছে আগুন। আগ্রাসী দাবানলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে একরের পর একর বনভূমি। বন থেকে দাবানলের লেলিহান শিখা প্রবেশ করেছে লিওন প্রদেশের বিভিন্ন শহরে।
দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রবাহের মধ্যে সৃষ্ট দাবানল নেভাতে লড়াই করছেন দমকল কর্মীরা। হেলিকপ্টার থেকে পানি ফেলেও নেভানো যাচ্ছে না আগুন। পাইন গ্রোভ পর্বত এলাকার দাবানলে কারকাস্টিলো শহর হুমকির মুখোমুখি বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে কয়েকটি এলাকা থেকে প্রায় দেড় হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বাসিন্দারা বলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই, হেলিকপ্টার থেকে পানি ফেলা বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ হেলিকপ্টারে দ্রুত পানি ফুরিয়ে যায়। এভাবে আগুন নেভানো সম্ভব না। মনে হচ্ছে পুরো শহর পুড়ে যাবে। আমাদের কিছুই থাকবে না।
এদিকে ইতালির ভিসুভিয়াস জাতীয় উদ্যানে টানা তিনদিন ধরে দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন দমকল কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা। প্রায় তিন কিলোমিটার প্রশস্ত এই আগুন শত শত হেক্টর বনভূমি ধ্বংস করছে। তীব্র বাতাস দাবানলকে আরও আগ্রাসী করে তুলছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ভিসুভিয়াস জাতীয় উদ্যান এলাকায় দর্শনার্থীদের আনাগোনা ও সবগুলো হাইকিং রুট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
দাবানলের কবলে ইউরোপের বলকান অঞ্চল কসোভোর মিরাশ গ্রামের বাসিন্দারা। শত শত ঘরবাড়ি গ্রাস করার আগেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা। কিন্তু দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় দমকলের গাড়ি ঢুকতে পারছে না, যার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক বাড়িঘরের পেছনে ঘন ধোঁয়ার কারণে জনমনে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘দমকলকর্মীরা এসেছিল, কিন্তু তারা আগুন নেভাতে কোনও পানি আনতে পারেননি। সঙ্গে কোনও সরঞ্জাম ছিল না। যতটা সম্ভব আমাদের স্থানীয়দের সঙ্গে মিলে তারাও আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, ‘আমার প্রায় ৭ হেক্টর বাগানের সব গাছ পুড়ে গেছে। এছাড়া চাচাতো ভাই-বোন এবং প্রতিবেশীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।’
এদিকে স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবার্গের কাছে অবস্থিত বিলুপ্ত আগ্নেয়গিরি আর্থার'স সিটেও ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। যা দূর থেকে দেখছেন পথচারী এবং পর্যটকরা।
তবে ঝুঁকির শঙ্কায়, গাড়ি চালক এবং পথচারীদের এই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।