হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার ধারণা, আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যেই বিষয়টির একটি চূড়ান্ত সমাধান হবে। এখন সবাই গাজা সিটির কথা বলছে। সব সময়ই কিছু না কিছু নিয়ে আলোচনা হয়, তবে একসময় এটি মীমাংসা হবেই। দ্রুতই মীমাংসা করা উচিত।’
তিনি জানান, যুদ্ধ বন্ধে বড় ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের কথাও উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি নেতানিয়াহুর সঙ্গে নিয়মিতই যোগাযোগ রাখি। আমরা ইরানের পারমাণবিক হুমকি দূর করতে সফল হয়েছি।’
তবে প্রেসিডেন্টের মতে, যুদ্ধের অবসান জরুরি হলেও ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামাস হামলা ইতিহাস থেকে মুছে যাবে না। ‘এটা শেষ হতেই হবে, তবে মানুষ ৭ অক্টোবরকে ভুলবে না,’ বলেন তিনি।
গাজায় চলমান মানবিক সংকট প্রসঙ্গে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র বিপুল পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী পাঠাচ্ছে। ‘আমরা অনেক মানুষকে খাওয়াচ্ছি। তবে এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে সহায়তা করাও বড় চ্যালেঞ্জ,’ মন্তব্য করেন তিনি। এসময় পাশে থাকা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘আমরা চাই যুদ্ধ শেষ হোক। তবে এটি অবশ্যই এমনভাবে শেষ হতে হবে যাতে হামাস আর গাজা শাসন করতে না পারে।’
এদিকে, সোমবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলের নাসের হাসপাতালে ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন সাংবাদিকও আছেন। ঘটনার পর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু একে ‘দুর্ভাগ্যজনক ভুল’ আখ্যা দিয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের যুদ্ধ হামাস সন্ত্রাসীদের সঙ্গে। ন্যায্য লক্ষ্য হলো হামাসকে পরাজিত করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা।’ এ হামলার ঘটনায় সেনাবাহিনী তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি।