ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূ-খণ্ডের গাজা সিটি দখলের ঘোষণা দিয়ে শুক্রবার থেকে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এ দিন হত্যা করা হয়েছে অর্ধশতাধিক নিরীহ ফিলিস্তিনিকে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় প্রাণহানির সংখ্যা ৬৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
একই দিন হামাস যোদ্ধাদের পাল্টা হামলায় নিহত হয়েছে এক ইসরাইলি সেনা, আহত আরও ১১ জন। এর মধ্য দিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় আগ্রাসন চালাতে গিয়ে নিহত হয়েছে ৪৫৫ ইসরাইলি সেনা।
এ অবস্থায় শনিবার ভোর থেকে গাজা সিটিতে ভারী বোমাবর্ষণের মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা সতর্ক করে দিয়েছে যে, গাজা সিটিতে ইসরাইল দখল অভিযানে বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে ১০ লাখ ফিলিস্তিনি। দুর্ভিক্ষের মধ্যে এ আক্রমণ অবিলম্বে বন্ধের জোর আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজ্জারিনি বলেন, ‘এ হামলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আপনি জানেন যে, গাজায় বসবাসকারী লোকেরা এখন দুর্ভিক্ষের মধ্যে রয়েছে, যা প্রায় এক সপ্তাহ আগে ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যেই অত্যন্ত দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সরিয়ে দিতে বড় সামরিক অভিযান বিপর্যয় ডেকে আনবে।’
এদিকে একদিনে অনাহার ও অপুষ্টিতে দুই শিশুসহ পাঁচজন মারা গেছে। এর ফলে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় না খেয়ে মারা গেছেন ৩২২ জন, যার মধ্যে ১২১ জনই শিশু।
আরও পড়ুন:
অবরুদ্ধ ভূ-খণ্ডে দুর্ভিক্ষের হানার মধ্যে ইসরাইলি বাহিনীর এ দখল অভিযানে ফুঁসছে বিশ্ববাসী। শুক্রবার ইয়েমেনের রাজধানী সানায় এক লাখেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়ে ইয়েমেনে ইসরাইলি বিমান হামলা এবং গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
এসময় গাজায় গণহত্যা বন্ধে ইসরাইলের ওপর আরও বেশি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে আগামী মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ঠিক আগ মুহূর্তে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই ভিসা নিষেধাজ্ঞায় সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে পারবে না ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাসসহ তার প্রশাসনের প্রায় ৮০ কর্মকর্তা।