রোববার (৩১ আগস্ট) মধ্যরাতে হঠাৎ কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চল। ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে মুহূর্তেই মাটিতে মিশে যায় অসংখ্য ঘরবাড়ি।
যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬। প্রথম ধাক্কার পরপরই আসে একের পর এক আফটারশক। এতে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয় নড়বড়ে স্থাপনাগুলো।
অগভীর ভূমিকম্প হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। মাত্র ৮ কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি হওয়া এ ভূমিকম্পে তীব্রতায় ধসে পড়েছে অসংখ্য ভঙ্গুর বাড়িঘর। অগভীর ভূমিকম্প সাধারণত সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়। কারণ শক্তি সরাসরি ভূপৃষ্ঠে পৌঁছায়, ধ্বংসযজ্ঞ হয় ব্যাপক।
একটি ভূমিকম্প কতটা ধ্বংসাত্মক হবে, তা শুধু তার মাত্রার ওপর নির্ভর করে না; বরং নির্ভর করে অবস্থান, উৎপত্তিস্থল থেকে দূরত্ব এবং গভীরতার ওপরও। ভূমিকম্প ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি বা গভীর ভূগর্ভ থেকেও হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বেশিরভাগ ভূমিকম্প ঘটে অগভীর গভীরতায়।
আরও পড়ুন:
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরার বিশ্লেষণ বলছে, সাধারণত অগভীর ভূমিকম্প বেশি ক্ষতিকর হয়। কারণ গভীর ভূমিকম্প থেকে নির্গত সিসমিক তরঙ্গ ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে গিয়ে শক্তি হারায়। আর ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি আঘাত হানা ভূমিকম্পের তীব্রতা হয় অনেক বেশি।
ইউএসজিএসের ভূতাত্ত্বিক সুসান হাফ বলছেন, অগভীর ভূমিকম্পের তীব্রতা অনেকটা কোনো শহরের নিচেই বোমা বিস্ফোরণের মতো।
অন্যদিকে গভীর ভূমিকম্প থেকে উৎপন্ন সিসমিক তরঙ্গ ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে গিয়ে শক্তি হারায়, ফলে ধ্বংসক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কমে যায়। এজন্য অগভীর ভূমিকম্পই মানুষের বসতি ও স্থাপনার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
এছাড়া এগুলোতে প্রচুর আফটারশক বা পরাঘাত হয়ে থাকে, যা দীর্ঘ সময় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাকে বিপর্যস্ত করে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বিশ্বজুড়ে অধিকাংশ ভূমিকম্পই অগভীর প্রকৃতির।