জাতীয় ট্রমা সেন্টারের চিকিৎসক দীপেন্দ্র পাণ্ডে জানান, তাদের হাসপাতালে আনা সাতজন মারা গেছেন। গুরুতর আহত আরও ১০ জনের মাথা ও বুকে গুলি লেগেছে। এছাড়া অন্যান্য আঘাতে আহত হয়েছেন ২০ জনের বেশি।
এভারেস্ট হাসপাতালের কর্মকর্তা অনিল অধিকারী জানিয়েছেন, সেখানে তিনজন নিহত হয়েছেন এবং চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৫০ জন। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সিভিল হাসপাতালে মারা গেছেন দুজন, কেএমসি ও ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষণ হাসপাতালে মারা গেছেন একজন করে। নিহতদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে প্রবেশ করলে পুলিশ জলকামান, টিয়ারগ্যাস ও তাজা গুলি চালায়। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন:
সহিংসতার পর প্রশাসন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করেছে। শুরুতে বানেশ্বরের কিছু এলাকায় সীমিত কারফিউ জারি করা হলেও পরে এর পরিধি বাড়িয়ে রাষ্ট্রপতির বাসভবন শীতল নিবাস, ভাইস প্রেসিডেন্টের বাসভবন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বলুয়াতার, সিংহ দরবার ও আশপাশের এলাকায় কার্যকর করা হয়।
কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সরকারি স্থাপনার নিরাপত্তা ও অস্থিরতা ঠেকাতে কারফিউ বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে, সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর মৈতিঘরে তরুণেরা জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। কয়েক দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘নেপো কিড’ ও ‘নেপো বেবিজ’ হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড করছিল। সরকার অনিবন্ধিত প্ল্যাটফর্ম বন্ধের ঘোষণা দিলে আন্দোলন তীব্র হয়।
বিক্ষোভের আয়োজন করে ‘হামি নেপাল’ সংগঠন। সংগঠনের চেয়ারম্যান সুধান গুরুঙ জানান, সরকারের দুর্নীতি ও তরুণদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের প্রতিবাদেই এ আন্দোলন।