থাইল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্টের রায়: সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিনকে এক বছরের সাজা

থাকসিন সিনাওয়াত্রা
বিদেশে এখন
0

থাইল্যান্ডের শীর্ষ আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে এক বছরের কারাদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের রায় অনুযায়ী, থাকসিনের পূর্বে বেআইনিভাবে হাসপাতালের বিলাসবহুল ওয়ার্ডে কাটানো সাজার সময়ও এবার কারাগারে অন্তর্ভুক্ত হবে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, থাকসিনের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের দুর্নীতি মামলায় দেয়া ৮ বছরের সাজা থাই রাজা কমিয়ে এক বছরে নামান। তবে সাজার মাত্র কয়েক ঘণ্টা তিনি কারাগারে কাটানোর পর হার্টের সমস্যার কথা উল্লেখ করে ব্যাংককের পুলিশ জেনারেল হাসপাতালের বিলাসবহুল ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত হন।

আজ (মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর) আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, থাকসিনের শারীরিক অবস্থার কারণে হাসপাতালে থাকা ছিল না প্রয়োজন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘শারীরিক সমস্যা থাকলেও হাসপাতালের বিলাসবহুল ওয়ার্ডে থাকার প্রয়োজন ছিল না; চিকিৎসা কারাগারেও সম্ভব ছিল।’

রায়ের দিন থাকসিন ব্যাংককের আদালতে উপস্থিত হন, তার সঙ্গে ছিলেন মেয়ে পায়েতংতার্ন। সংবাদমাধ্যম ও সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে থাকসিনের মেয়ে বলেন, ‘পরিবার মানসিকভাবে দৃঢ় রয়েছে এবং পিউ থাই পার্টিকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।’ থাকসিন নিজেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, তিনি শারীরিকভাবে বন্দি হলেও থাইল্যান্ড ও তার জনগণের কল্যাণের বিষয়টি সবসময় চিন্তায় রাখবেন।

থাকসিন ২০০১ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন। তার পরিবার দেশটির রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব বিস্তার করছে। তার বোন ও মেয়ে পরে প্রধানমন্ত্রীর পদও সামলেছেন। ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে থাকসিন ক্ষমতাচ্যুত হন এবং দীর্ঘ সময় স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন, যার বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন দুবাইয়ে।

মামলাটি স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘চৌদ্দ তলা মামলা’ হিসেবে। এখানেই থাকসিন ছয় মাস কারাদণ্ড পালন করেছিলেন। বিচারপতিরা বলছেন, ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জন্য আইন প্রায়শই আলাদা হয়, আর থাকসিনের মামলা তার উদাহরণ।

মঙ্গলবার রায়ের আগে থাকসিন দুবাই থেকে ব্যাংককে ফিরে আসেন। আদালতে স্যুট ও হলুদ রঙের টাই পরে হাজির থাকেন, মেয়ে পায়েতংতার্নকে সঙ্গে নিয়ে। গণমাধ্যম এবং সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি হাসিমুখে উপস্থিত থাকেন।

এনএইচ