সামরিক অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সাবেক প্রেসিসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত করার পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন বিরোধীসহ অনেক সাধারণ জনতাও।
এসময় করোনাকালে বলসোনারোর অব্যবস্থাপনার কারণে সাত লাখের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে। বলেন, তাকে ২৭ বছর তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করেছেন ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট।
২০২২ সালে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রসহ পাঁচটি অভিযোগের সবকয়টিতে বলসোনারোকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। পাঁচজনের মধ্যে চারজন বিচারপতি এ রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগগুলো হলো সশস্ত্র অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, গণতান্ত্রিক আইনের শাসন বিলুপ্তির চেষ্টা, সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস, সংরক্ষিত জাতীয় ঐতিহ্যবাহী স্থানের ক্ষতি।
আরও পড়ুন:
ব্রাজিল সুপ্রিম ফেডারেল ট্রাইব্যুনাল মন্ত্রী আলেকজান্ডার দে মোরেস বলেন, ‘আমরা আসামী জাইর বলসোনারোর চূড়ান্ত সাজা ২৭ বছর তিন মাস নির্ধারণ করেছি। যার মধ্যে ২৪ বছর নয় মাস কারাদণ্ড এবং দুই বছর ছয় মাস আটক এবং ১২৪ দিনের জরিমানা রয়েছে।’
এ বিচারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জাইর বলসোনারোর ছেলে ও ব্রাজিলের আইন প্রণেতা এডুয়ার্ডো বলসোনারো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনও এতে নাখোশ হয়ে বিচারকদের উপর নিষেধাজ্ঞা দেবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি।
জাইর বলসোনারোর ছেলে এডুয়ার্ডো বলসোনারো বলেন, ‘আমরা আশা করছি ব্রাজিলের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের পক্ষ একটি দৃঢ় প্রতিক্রিয়া দেখতে পাবো। আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার মতো ব্রাজিলের শাসনব্যবস্থারও এ হাল দেখে খুশি হবেন না। আমরা বিশ্বাস করি যে নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেবে মার্কিন প্রশাসন।’
জাইর বলসোনারোকে কারাদণ্ড দেয়ার খবরে খুবই আশ্চর্যজনক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে নিষেধাজ্ঞা বা কঠোর কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়ার বিষয় নিশি্চত করেনি।
২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম দেশ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বলসোনারো। বলসোনারোর পাশাপাশি সাবেক মন্ত্রী ও সামরিক প্রধানেরাসহ আরও সাতজন তার সঙ্গে ষড়যন্ত্রের মামলায় দোষীসাব্যস্ত হয়েছেন।