নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে আরও এক সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে প্রতিবেশী দুই দেশ পাকিস্তান-আফগানিস্তান। তুরস্কের ইস্তানবুলে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।
এক সপ্তাহ পর আগামী ৬ নভেম্বর যুদ্ধবিরতি এগিয়ে নিতে বিভিন্ন শর্ত নিয়ে আলোচনা করতে আবারও বৈঠকে বসবেন দুই দেশের সরকারি প্রতিনিধিরা।
মধ্যস্থতাকারী দেশ তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুই দেশই শান্তি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট দেশের ওপর শাস্তি আরোপ করা হবে। সাময়িক এই যুদ্ধবিরতি মাধ্যমে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় দুই দেশই পারস্পরিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। যুদ্ধবিরতি বহাল রাখতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার ও তুরস্ক।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ তুলে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের মতে, নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি ঘাঁটি হিসেবে আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার করছে। যা পাকিস্তানের জন্য হুমকিস্বরূপ। এর জেরে গেল ৯ অক্টোবর কাবুলে পাকিস্তানি বিমান হামলায় চালিয়ে হত্যা করা হয় টিটিপির শীর্ষ নেতাকে। জবাবে দুই দিনের মাথায় পাকিস্তানের সীমান্ত সেনাচৌকিতে হামলা করে আফগান সেনাবাহিনী।
দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় বন্ধ হয়ে যায় উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত ক্রসিং তোরখাম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় চামান ক্রসিং। বাধাগ্রস্ত হয় সীমান্ত পাড়ের দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য। এরপরই প্রথম দফায় ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। যদিও তা খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।
২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সম্পর্কের অবনতি শুরু। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশটির তালেবান সরকার, পাকিস্তানের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান টিটিপি কে সমর্থন দিচ্ছে। যদিও এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে তালেবান সরকার।




