মধ্যরাতে পাকিস্তানে বহুমুখী হামলা চালায় ভারত। পেহেলগামে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এই বিমান, বোমা আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার টার্গেট ছিল সশস্ত্র গোষ্ঠীদের ঘাঁটি, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আর হামলার জন্য ব্যবহৃত লঞ্চ প্যাড। এমন দাবি করেছে ভারত সরকার। তাদের দাবি, পাকিস্তানের সরকার আর গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের সামরিক সহায়তা করা হয়।
ভারতের দাবি, দুই দেশের সীমান্ত ঘিরে যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলতে থাকে, সেগুলোর প্লট তৈরি হয়েছে এই স্থানগুলোতেই। এর মধ্যে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের দক্ষিণাঞ্চলে বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত জইশ ই মোহাম্মদের ঘাঁটি মারকাজ সুবহান আল্লাহ। ২০১৫ সাল থেকে কার্যক্রম চালানো এই ঘাঁটি ব্যবহার করা হয় তরুণ যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিতো। ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি ২০০১ সালে সংসদে হামলা ও ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলায় যারা অংশ নিয়েছিলো, তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এখানেই।
পাঞ্জাবের মুরিদকেতে মারকাজ তৈয়বা লস্কর ই তৈয়বার ৮২ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত কমপ্লেক্স, যেখানে রয়েছে মাদ্রাসা, মার্কেট, আবাসিক এলাকা, মাছের খামার ও কৃষিকাজের এলাকা। ভারতের দাবি, এই কমপ্লেক্সে সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ২৬/১১র মুম্বাই হামলায় এই আস্তানা থেকেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিলো হামলাকারীরা।
পাঞ্জাবের শাকারগার্হের সারজাল ফ্যাসিলিটি জইশ ই মোহাম্মদের প্রধান হামলার কেন্দ্র বলেও দাবি নয়াদিল্লির। শাকারগার্হে পাকিস্তানের আইএসআই আর জইশ ই মোহাম্মদের মাটির নিচে টানেল রয়েছে সীমান্তের এপার থেকে ওপারে। রয়েছে ড্রোন উৎক্ষেপণ ঘাঁটি। ভারতের দাবি, এই ঘাঁটি থেকে দেশে ড্রোন দিয়েও হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে জইশ ই মোহাম্মদ।
দেশটির গণমাধ্যমগুলো বলছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কোটলিতে রয়েছে আত্মঘাতী বোমার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। মারকাজ আব্বাসে সবসময় উপস্থিত থাকে ৪০ থেকে ৫০ জন জইশ ই মোহাম্মদের সদস্য। পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত এই ক্যাম্পে রয়েছে ব্যারাক, সমরাস্ত্র মজুতের জন্য আলাদা স্থান।