গোপনে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউরোপ , উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

ইউক্রেনকে লুকিয়ে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গেলো মাসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিয়েভের জন্য সামরিক সহায়তার জন্য যে ৩০ কোটি ডলারের অনুমোদন দিয়েছিল, তাতে ছিল 'এটিএসিএমএস' ক্ষেপণাস্ত্র। বিভিন্ন সূত্র বলছে, ইউক্রেন এই ক্ষেপণাস্ত্র গেলো সপ্তাহে প্রথম ব্যবহার করেছে।

রাশিয়ার সেনা অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা অনবরত দিয়ে যাচ্ছিলো যুক্তরাষ্ট্র। হঠাৎ দেশের আর্থিক পরিস্থিতিতে টানাপড়েন আর দেশেই বিরোধীদের তোপের মুখে অনেকদিন ধরে কংগ্রেসে আটকে ছিল ইউক্রেনকে ৬ হাজার কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেয়ার প্রকল্পটি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেন যেন সংকটে না পড়ে, সেজন্য গেলো মার্চে লুকিয়ে কিয়েভকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে ওয়াশিংটন।

ঠিক কি পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনকে সরবরাহ করা হয়েছে, সে বিষয়ে না জানা গেলেও আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম এটিএসিএমএস'এর রেঞ্জ ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। প্রথমদিকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনকে দিয়ে নিজেদের ভাণ্ডার খালি করার বিপক্ষে ছিল পেন্টাগন। শঙ্কা ছিলো ইউক্রেন এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার জন্য।

যদিও ইউক্রেন প্রথমবার এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ১৭ এপ্রিল, যখন ক্রিমিয়ায় একটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় কিয়েভ। ক্ষেপণাস্ত্রটি ইউক্রেনের সম্মুখসারি থেকে ১৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত এসেছিল। সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স, পলিটিকো আর নিউইয়র্ক টাইমসে আসা প্রতিবেদনের পাশাপাশি হোয়াইট হাউজ থেকেও জানানো হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটিকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এই এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর বেশিরভাগ অস্ত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান লকহেড মার্টিন থেকে নেওয়া হয়েছে। এর আগে মধ্যমপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র গেলো বছরের সেপ্টেম্বরে দেয়া হয় ইউক্রেনকে।

এদিকে রাশিয়াও এই ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করছে।

এসএস