ইস্তাম্বুলে রাশিয়া-ইউক্রেন বৈঠকে নেই শীর্ষ নেতারা

ইউরোপ
বিদেশে এখন
0

যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সরাসরি বৈঠকে বসছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। ২০২২ সালের পর এটিই দুদেশের প্রতিনিধিদের প্রথম সরাসরি বৈঠক। তবে বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের বৈঠকে না থাকার খবরে আলোচনায় যোগ দিচ্ছেন না ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে থাকছেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ, কিথ কেলিক ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তবে এ ধরনের বৈঠকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কিয়েভ। যদিও বৈঠক নিয়ে আশাবাদী মস্কো।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি যেন হয়েও হচ্ছে না। নানা অজুহাতে ঝুলে যাচ্ছে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধ। বৃহস্পতিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে রাশিয়া ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের মধ্যে সরাসরি আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। ২০২২ সালের পর এই প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ মুখোমুখি কোন বৈঠকে বসতে যাচ্ছে।

তবে আশা দেখিয়েও এবারের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে তুরস্কের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া রুশ প্রতিনিধিদের তালিকা প্রকাশ করে ক্রেমলিন। যেখানে ছিল না পুতিনের নাম। এ থেকেই নিশ্চিত হওয়া যায় পুতিনের যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ না নেয়ার বিষয়টি। পুতিন না আসলেও তার প্রতিনিধিত্ব করবেন তারই উপদেষ্টা ভ্লাদিমির মেদিনিস্কি ও ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেক্সান্ডার ফোমিন।

পুতিন বৈঠকে যোগ না দেয়ার খবরে একই পথে হেঁটেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আগেই জানিয়েছিলেন, পুতিন তুরস্কের বৈঠকে যোগ দিলেই কেবল সেখানে যাবেন তিনি। তবে, শেষ পর্যন্ত পুতিন সেখানে না যাওয়ায় পিছিয়ে যান জেলেনস্কি।

ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘অপেক্ষা করছিলাম কে কে বৈঠকে যোগ দেয়। এর পর সিদ্ধান্ত নেবো আসলে কী করবো। রাশিয়ার মনোভাব ইতিবাচক মনে হচ্ছে না। তবে, এ সপ্তাহে বড় কোন পরিবর্তন আসলেও আসতে পারে।’

এদিকে তুরস্কে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নেয়ার কথা ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও। তবে ঐ বৈঠকে পুতিনের বৈঠকে অংশ না নেয়ায় খবরে, ট্রাম্পও সেখানে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। তবে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও কিথ কেলগ বৈঠকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে থাকার কথা রয়েছে। এছাড়াও ন্যাটো দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীগুলোর সঙ্গে বৈঠক করতে ইতোমধ্যেই তুরস্কে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনিও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি আলোচনায় যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর মাসখানেক পর তুরস্কের দুদেশের প্রতিনিধিদের সরাসরি বৈঠক হয়। তবে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছিলো তাদের সে বৈঠক। এরপরই, ইউক্রেনে হাজার হাজার সেনা পাঠায় রাশিয়া।

তবে এবারের বৈঠকে চিরবৈরী দুদেশের অস্ত্রবিরতিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা আসলে কতটা? এ নিয়ে এক বিশ্লেষণ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। যেখানে বলা হয়, রাশিয় ও ইউক্রেন দুপক্ষই এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয়, ঠিক কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে। এছাড়াও, ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, শর্তহীন যুদ্ধবিরতি আলোচনা সফলতার মুখ দেখবে না। কিয়েভের পক্ষ থেকেও জানানো হয়, এবারের বৈঠকে কোন ধরনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে না। তবে বৈঠক নিয়ে বেশ আশাবাদী রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এসএস