সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (সিআইএ) এর অংশ এমআই সিক্স। ব্রিটিশ এই গোয়েন্দা সংস্থার কাজ বহির্বিশ্বকেন্দ্রিক। অন্যদিকে এমআই ফাইভ অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা, যেটি কাজ করে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে।
এমআই সিক্সের ভেতরে ডাবল এজেন্ট হিসেবে কাজ করা রাশিয়ার এক গুপ্তচরের খোঁজে টানা ২০ বছর পার করেছে এমআই ফাইভ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
জানা যায়, মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান শুরু করে ব্রিটিশ গোয়েন্দারা। জ্যেষ্ঠ কোনো গোয়েন্দা কর্মকর্তা রাশিয়াকে তথ্য পাচার করছেন, এমন সন্দেহে নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয় এ নজরদারি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ গুপ্তচরের সন্ধানে দুই দশক মেয়াদি অভিযানের নাম দেয়া হয় ‘অপারেশন ডেডলক’। গুপ্তচরের খোঁজে দেশে দেশে তৎপরতা শুরু করে এমআই ফাইভের অন্তত ৩৫ সদস্য।
বলা হয়, প্রযুক্তির সাহায্যে সন্দেহভাজনের বাড়িতে আড়ি পেতেছিল ব্রিটিশ গোয়েন্দারা। পুরো লন্ডনে সার্বক্ষণিক তাকে অনুসরণ করা হতো ভিডিও নজরদারির মাধ্যমে। আইনি নির্দেশনা উপেক্ষা করে দেশের বাইরেও তাকে অনুসরণ করা হয়।
তবে শেষ পর্যন্ত বিপুল অর্থ আর সময় ব্যয় করেও কোনো প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি এমআই ফাইভ। ফলে ২০১৫ সালে দীর্ঘমেয়াদি এ অভিযানে টানতে হয় ব্যর্থ সমাপ্তি। ওয়েডলক টিমের সন্দেহভাজন কর্মকর্তা ততদিনে এমআই সিক্স ছেড়েও দেন। সেসময় প্রায় আড়াই হাজার কর্মী নিযুক্ত ছিল সংস্থাটিতে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই উত্তপ্ত লন্ডন-মস্কো কূটনীতি। মিত্র দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য যুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাশিয়ার ওপর। অন্যদিকে মস্কোর অভিযোগ, রাশিয়ার ভেতরে নাশকতার লক্ষ্যে ইউক্রেনের সেনাদের প্রশিক্ষণ দেয় ব্রিটিশ গোয়েন্দারা।